আদিবা মাশরুকা,(ঢাকা):
”বই হলো এমন এক মৌমাছি যা অন্যদের সুন্দর মন থেকে মধু সংগ্রহ করে পাঠকের জন্য নিয়ে আসে।”
– জেমস রাসেল।
আজ ২৩ এপ্রিল, বিশ্ব বই দিবস বা বিশ্ব গ্রন্থ দিবস।রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্যােগে ১৯৫৫ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবস টি পালন করা হয়ে থাকে।
বিশ্ব বই দিবসের মূল ধারণাটি আসে স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেসের কাছ থেকে। ১৬১৬ সালের ২৩ এপ্রিল মারা যান স্পেনের এক বিখ্যাত লেখক মিগেল দে থের্ভান্তেস। আন্দ্রেস ছিলেন তার ভাবশিষ্য। নিজের প্রিয় লেখককে স্মরণীয় করে রাখতেই ১৯২৩ সালের ২৩ এপ্রিল থেকে আন্দ্রেস স্পেনে পালন করা শুরু করেন বিশ্ব বই দিবস। এরপর দাবি ওঠে প্রতিবছরই দিবসটি পালন করার। অবশ্য সে দাবি তখন নজরে আসেনি কারোরই। বহুদিন অপেক্ষা করতে হয় দিনটি বাস্তবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।
অবশেষে ১৯৯৫ সালে ২৩ এপ্রিলকে ইউনেস্কো প্রথমবারের মত বিশ্ব বই দিবস উপযাপন করে।
উল্লেখ্য, ২৩ এপ্রিল শুধুমাত্র বিশ্ব বই দিবসই নয়, শেক্সপিয়র, সত্যজিৎ রায়, ইনকা গার্সিলাসো ডে লা ভেগাসহ প্রমুখ খ্যাতিমান সাহিত্যিকদের জন্ম ও প্রয়াণ দিবসও। আর এ কারণেও ২৩ এপ্রিলকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই।
বই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো, বই পড়া, বই ছাপানো, বইয়ের কপিরাইট সংরক্ষণ করা ইত্যাদি বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো।
সুইডেনের দিনটি বার্ডসবোকড্যাগেন Världsbokdagen ("বিশ্ব বই দিবস") নামে পরিচিত। সাধারণভাবে এটি ২৩ এপ্রিল উদযাপন করা হয়, তবে এটি ইস্টারের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে ২০০০ এবং ২০১১ সালে তা ১৩ এপ্রিলে নেয়া হয়েছিল। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে, বিশ্ব বই দিবসটি হল মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত একটি দাতব্য অনুষ্ঠান, যা বার্ষিকভাবে প্রথম বৃহস্পতিবারে অনুষ্ঠিত হয় এবং এ উপলক্ষে বইয়ের বিশেষ সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি বিভিন্ন ভাবে উদযাপিত হয়ে থাকে, কোন কোন দেশে একে অপরকে বই উপহার দেওয়ার মাধ্যেমে, বই পড়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে রেলির মাধ্যমে পালন করে হয়ে থাকে এ দিবসটি।