খালিদ আহমেদ রাজা,(কুড়িগ্রাম):
অন্য ঋতুর চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম শীতকাল। দিনের বেলায় যেমনি রোদের প্রখর তাপ, তেমনি সন্ধ্যা হলেই মৃদ কুয়াশায় মুখোরিত হচ্ছে পথ-ঘাট। বিন্দু বিন্দু শিশির জমতে শুরু করেছে ঘাসের ডগায় ও ধানের শীষে। সারা দেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও শুরু হয়েছে শীতের আগমনের বার্তা। শহরে শীতের প্রভাব কিছুটা কম হলেও গ্রামে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তবে কুড়িগ্রাম নদী অঞ্চল হাওয়া করণে শীতের প্রভাত একটু বেশি। শহর আর গ্রামে শীতের আগমন কিন্তু একরকম নয়। তবুও অগ্রীম শীতের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা ভালো। ইতোমধ্যে অনেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। শীতের রাতে বিছানায় পরিবারের সদস্যদের উষ্ণ রাখতে সবাই ব্যস্ত লেপ-তোষক মেরামত আর নতুন করে তৈরি করতে। শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে এসব তৈরির কারিগরদের কাজের গতি বেড়ে গেছে। তাদের এখন দম ফেলাবার ফুরসত নেই। হাটে বাজারে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ছোট আকারের কম্বল। শহরের বিভিন্ন লেপ-তোষক তৈরির দোকান গুলোতে দেখা গেছে সব কারিগর ব্যস্ত নতুন লেপ সহ গরমের পোষাক তৈরিতে। তবে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামের অনেক নারী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদের পুরনো কাঁথা নতুন করে শেলাই করতে। বাড়ির পাশে গাছের নিচে বসে রং-বেরংয়ের সুতো দিয়ে তারা তৈরি করছেন নতুন কাঁথা। সারা বছর ব্যবহারের পর ছিড়ে যাওয়া শাড়ি আর লুঙ্গি দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব কাঁথা।
এই দিকে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের রাস্তার সারিতে খেজুর গাছ কাটার ধুম পড়েছে। শ্রমিকরা গাছ কাঁটা প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় কাজ করছে। আর সেই খেজুর রসের রসে ভরা মিষ্টি পানি কাঁধে ভার করে মাটির কলসে করে বিক্রি হচ্ছে হাঁটে-বাজারে। তা গ্লাস প্রতি ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর এই শীতে আগমন হয়েছে খেজুর রস, ভাপাপিঠা, চিতই পিঠা, নকশি পিঠা, তিলপুলি, লাল পুয়াপিঠা, দুধে ভেজানো হাতকুলি ছাড়া তো শীত জমেই না। আবার পিঠা খাওয়ার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত দিয়ে আনা কিংবা তাদের বাড়িতে যাওয়ার একটা প্রচলন রয়েছে আমাদের কুড়িগ্রামে।
কুড়িগ্রামে শীতের আগমন
Reviewed by সম্পাদক
on
শুক্রবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
Rating: