-->

চুইংগামের আবিষ্কার

 


আদিবা মাশরুকা। (ঢাকা):

চুইংগাম চিবোতে আমাদের কার না ভালো লাগে! যাত্রা পথে অথবা বিরক্ত দূর করে সময় পার করার জন্য হলেও আমরা চুইংগাম চিবোই।

তবে আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি কিভাবে এলো এই চুইংগাম?
গ্রিক ভাষায় ম্যাসটিচ শব্দের অর্থ হলো 'চিবানো।  
কেউ কেউ এটিকেই মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথম চুইংগাম বলে আখ্যায়িত করেন।
প্রাচীন গ্রীক জাতি ম্যাসটিক গাছ (mastic tree) এর আঁঠালো উপাদান (কষের মতো) ম্যাসটিচ (Mastiche) খুব পছন্দ করতো। সম্ভবত মানুষের ইতিহাসে সেটাই প্রথম চুইংগাম। খ্রিস্ট্রিয় প্রথম শতাব্দিতে এক গ্রীক চিকিৎসক ও উদ্ভিদবিদ ম্যাসটিক গাছের আরোগ্য সহায়ক ক্ষমতা বর্ণনা করেন। তবে বর্তমানে কেবল গ্রিকরা নয় মধ্যপ্রাচ্যেও ম্যাসটিক গাছের রস ও মৌমাছির মোম একসাথে মিশিয়ে তৈরি চুইংগাম খাওয়ার ব্যাপক চল রয়েছে। গ্রিক ভাষায় ম্যাসটিচ শব্দের অর্থ হলো ‘চিবানো’। এদিকে মধ্য আমেরিকান মায়া জাতির মধ্যেও চুইংগাম চিবানোর প্রথা প্রচলিত ছিল। গবেষণায় দেখা যায়, তারা স্যাপোডিলা (Sapodilla) গাছের রস থেকে তৈরি চুইংগাম চিবাতো। অবশ্য তাদের ভাষায় এটার নাম ছিলো ‘চিকল’ (Chickle)। একসময় এই শিকল চিবানো তাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে যায়।

৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে মায়া সভ্যতার উপাসনালয়, নির্মিত রাস্তা, ক্যালেন্ডার, বিশাল বিশাল শহরগুলো অজ্ঞাত কারণে ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও উনবিংশ শতাব্দি পর্যন্ত মায়া জাতির উত্তরসূরিদের মধ্যে একমাত্র ঐতিহ্য হিসেবে এই চুইংগাম খাওয়ার প্রবণতা টিকে ছিলো। নিউ ইংল্যান্ডে বসবাসকারী আমেরিকান ইনডিয়ানরা স্প্রুস গাছের রস থেকে তৈরি চুইংগাম খেত। আমেরিকার জন্মলগ্ন থেকেই চুইংগাম চিবানোর প্রথা বৃদ্ধি পেতে থাকে। উনবিংশ শতকের শুরু পর্যন্ত স্প্রুসগাম-ই ছিল প্রথম গাম প্রডাক্ট যা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হতো। এরপর স্প্রুসগামের স্থান দখল করে প্যারফিন মোম গাম। প্যারফিন মোম গাম মুখের উষ্ণতা ও আর্দ্রতাকে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করে। একে চিবানোর ক্ষেত্রে মানানসই করে বলেই অন্যান্য গামের পরিবর্তে এ গামই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানেও মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত প্যারাফিন মোম চুইংগাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
করে কোথা থেকে এলো চুইংগামঃ
প্রাচীন গ্রীক জাতি ম্যাসটিক গাছ (mastic tree) এর আঁঠালো উপাদান (কষের মতো) ম্যাসটিচ (Mastiche) খুব পছন্দ করতো। সম্ভবত মানুষের ইতিহাসে সেটাই প্রথম চুইংগাম। খ্রিস্ট্রিয় প্রথম শতাব্দিতে এক গ্রীক চিকিৎসক ও উদ্ভিদবিদ ম্যাসটিক গাছের আরোগ্য সহায়ক ক্ষমতা বর্ণনা করেন। তবে বর্তমানে কেবল গ্রিকরা নয় মধ্যপ্রাচ্যেও ম্যাসটিক গাছের রস ও মৌমাছির মোম একসাথে মিশিয়ে তৈরি চুইংগাম খাওয়ার ব্যাপক চল রয়েছে। গ্রিক ভাষায় ম্যাসটিচ শব্দের অর্থ হলো ‘চিবানো’। এদিকে মধ্য আমেরিকান মায়া জাতির মধ্যেও চুইংগাম চিবানোর প্রথা প্রচলিত ছিল। গবেষণায় দেখা যায়, তারা স্যাপোডিলা (Sapodilla) গাছের রস থেকে তৈরি চুইংগাম চিবাতো। অবশ্য তাদের ভাষায় এটার নাম ছিলো ‘চিকল’ (Chickle)। একসময় এই শিকল চিবানো তাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে যায়।

৮০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে মায়া সভ্যতার উপাসনালয়, নির্মিত রাস্তা, ক্যালেন্ডার, বিশাল বিশাল শহরগুলো অজ্ঞাত কারণে ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও উনবিংশ শতাব্দি পর্যন্ত মায়া জাতির উত্তরসূরিদের মধ্যে একমাত্র ঐতিহ্য হিসেবে এই চুইংগাম খাওয়ার প্রবণতা টিকে ছিলো। নিউ ইংল্যান্ডে বসবাসকারী আমেরিকান ইনডিয়ানরা স্প্রুস গাছের রস থেকে তৈরি চুইংগাম খেত। আমেরিকার জন্মলগ্ন থেকেই চুইংগাম চিবানোর প্রথা বৃদ্ধি পেতে থাকে। উনবিংশ শতকের শুরু পর্যন্ত স্প্রুসগাম-ই ছিল প্রথম গাম প্রডাক্ট যা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হতো। এরপর স্প্রুসগামের স্থান দখল করে প্যারফিন মোম গাম। প্যারফিন মোম গাম মুখের উষ্ণতা ও আর্দ্রতাকে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করে। একে চিবানোর ক্ষেত্রে মানানসই করে বলেই অন্যান্য গামের পরিবর্তে এ গামই বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানেও মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত প্যারাফিন মোম চুইংগাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
চুইংগামের আবিষ্কার চুইংগামের আবিষ্কার Reviewed by সম্পাদক on মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৪, ২০২০ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.