সৈয়দ আবুল হাসনাত জিসান,(চট্টগ্রাম):
উম্মে হাফসা রুমকি ক্রীড়া প্রেমীদের কাছে একটি পরিচিত নাম। ফুটবল খেলার মাঠ মাতিয়ে রাখা মেয়েটি এখন দেশসেরা হাই জাম্পার। ২০১৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের ক্যাম্পে গোল রক্ষক হিসাবে ছিলেন রুমকি। বর্তমানে তিনি মহিলা ফুটবল লীগের দল কুমিল্লা ইউনাইটেড এর দলনেতা হিসাবে দায়িত্বে আছে। জিতেছেন ৩ টি স্বর্ণসহ ৯ পদক। তবে এখন তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি দেশসেরা হাই জাম্পার।
১৯ বছর বয়সী রুমকি অর্জন করেছে হাইজাম্পের জাতীয় রেকর্ড। ১.৬৮ মিটার উচ্চতা অতিক্রম করে পুরোনো রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের মেয়েটি। গত বছরের আগস্টের ৩০তারিখে সামার অ্যাথলেটিকসে হাই জাম্পে এ রেকর্ডটি অর্জন করেন তিনি। ইনজুরির কারণে গতবছর নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান গেমস (এস এ) এ খেলতে পারেন নি তিনি।
ব্যবসায়ি পিতা আর গৃহিনী মাতার ৫ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ রুমকি।
'ফুটবল ছেড়ে হাইজাম্পে কেনো এসেছিলেন?' এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমি এ্যাথলেটিক্স এ আগে থেকেই যুক্ত। এ্যাথলেটিক্সের মধ্যে আমি ফুটবলে গিয়েছিলাম। আমি ফুটবলে জাতীয় দলে সুযোগ পাবার পর দেখলাম সেখানে আমাকে নিয়মিত থাকতে হবে। তখন বললাম যে আমাকে এ্যাথলেটিক্স খেলতে দিতে হবে,তখন তারা বলে দুইটা খেলা খেলা যাবেনা যেকোনো একটা খেলতে হবে। তারা আমাকে এরপর ২দিন সময় দেয় যে তুমি সিদ্ধান্ত নাও কোনটা খেলবা? এরপর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এ্যাথলেটিক্স খেলবো কারণ এটা আগে খেলতাম আর আমি এ্যাথলেটিক্স কে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকি।"
এদিকে উম্মে হাফছা রুমকি ২টি দেশের ৫টি বেসরকারি সংস্থার শুভেচ্ছাদূত নির্বাচিত হয়েছেন। রুমকী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে।
হাইজাম্প নিয়ে রুমকির ভবিষ্যৎ স্বপ্ন জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আমি চাচ্ছি যেনো দ্বিতীয় স্বর্ণ পাই কারণ এটা আমার সাধ্যের মধ্যে আছে। আর আমার সামনের স্বপ্ন থাকবে আমি এস এ গেইমস(সাউথ এশিয়ান গেমস) খেলতে চাই,এবারে আমি ইনজুরিতে থাকার কারণে খেলতে পারি নাই, না হয় রৌপ্য পদক এর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। এখন বলতে গেলে আমার সামনের টার্গেট এস এ গেমস এবং সবাই দোয়া করেন যেনো আমি এস এ গেমস খেলে স্বর্ণ জিততে পারি।"