ছড়া: খুকুমণির ভাবনা।
লেখা: শেখ একেএম জাকারিয়া,(সুনামগঞ্জ)।
বৃষ্টি এলো আকাশ ছিঁড়ে
ঝুপ ঝুপা ঝুপ ঝুপ,
খুকুমণির মুখটা ভারি
সকাল থেকেই চুপ।
প্রশ্ন অনেক খুকুমণির
মেঘ কেমনে ওড়ে,
মেঘটা আবার কেমন করে
বৃষ্টি হয়ে ঝরে?
বাড়ির পাশে উড়ছে ফড়িং
খেলছে মজার খেল্,
হঠাৎ করে বৃষ্টি আসায়
ভাঙল তাদের মেল্।
কোথায় যাবে ফড়িংগুলো
কাঁদছে খুকির জান,
কেমন করে বৃষ্টি ঠেকায়
মন করে আনচান।
কোথায় থাকে দমকা হাওয়া
কোথায় থাকে ঝড়,
এসেই কেন ভেঙে ফেলে
ফুল পরীদের ঘর?
কেমন করে সুয্যিমামা
ছড়ায় কিরণ তাপ?
পায় না ভেবে কিছুই খুকি
ছাড়ছে শুধুই হাঁপ।
ছড়া:বর্ষা এলো।
লেখা: মো:শাওন, (পাবনা)।
বর্ষা এলো ফর্সা হলো
নদী-নালা খাল-বিল
বর্ষা এলো জলসা হলো
রাস্তা-ঘাটে নাই মিল।
বর্ষা এলেই পড়ছে পাড়ায়
তালের পিঠার ধুমধাম।
বর্ষা এলেই চুপসে সবাই
নাই যে কোনো কাজকাম।
বর্ষা এলেই উপচে পড়ে
নদী ভরা জল-
মাছের নেশায় ছুটছে
সবাই করছে কোলাহল।
ছড়া: বৃষ্টির দিনগুলো।
ছড়া: দীপিকা রায়,(রংপুর)।
বৃষ্টি পড়ছে বাইরে,
আনন্দে গান গাই'রে--
তাই'রে নাই'রে নাই'রে,
যাইব না আজ বাইরে
থাকব স্বপ্ন ঝলকে—
ঘুরব বিশ্ব গােলকে,
নাই'রে চিন্তা নাই'রে,
যাইব না আজ বাইরে।
শীতল বাতাস আহা'রে,
শান্ত জগত বাহা'রে।।
আর কিছুই না চাই'রে,
যাইব না আজ বাইরে৷
কবিতা: বর্ষণ মুখর দিন।
লেখা: মোঃ মিরাজ হোসেন চৌধুরী,(চট্টগ্রাম)।
গ্রীষ্মের দাবদাহে প্রকৃতি যখন দগ্ধ
তৃষ্ণার্ত বুকে যখন সুতীব্র হাহাকার,
তখনই শান্তির পরশ নিয়ে আসে
নবযৌবনা বর্ষা।
বনে বনে জেগে ওঠে,
নতুন প্রাণের শিহরণ,
গগণে গগণে শোনা যায়
মেঘের গর্জন।
প্রকৃতির ধূলিমলিন বিবর্ণতার অবসান ঘটিয়ে,
শুষ্কতার দীর্নতা মুছে দিয়ে
অপার বর্ষার আগমন ঘটে
এই সুন্দর ভূবনে।
কদম,জুঁই আর হাসনা হেনার সৌরভ ছড়িয়ে,
পূন্যতায় ভরিয়ে দেয় এ প্রকৃতিকে,
বর্ষা তার এই আগমনে-
আকাশের বুকে চলে মেঘ-রৌদ্রের
স'কৌতুক খেলা।
বর্ষার পানিতে ছোট্ট খোকা ভাসিয়ে দেয়,
তার ভেলা।
চারিদিকে দেখা যায় ফুলের মহাসমারোহ,
তাই দেখে সবাই হয় আনন্দে আপ্লূত।
তাই বলি বর্ষণ মুখর দিন,
প্রকৃতিকে করে তোলে অমলিন।