-->

স্থুলতার সমাধান স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।


মো: আবদুল্লাহ,(বগুড়া):
সবাই চায় স্বাস্থ্যবান একটি আকর্ষণীয় দেহ। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত হলে তা বেমানান রূপ নেয়। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অর্থাৎ স্থূল পেট সকলেরই কাছেই অতৃপ্তি ও অস্বস্তির অন্যতম কারণ। সকলেই চায় নিজেকে স্লীম ও অাকর্ষনীয় করে গড়ে তুলতে। কিন্তু অনেক সময় অনেক কারণে দেহে স্থুলতা দেখা দেয়। যার কারণে ভেঙ্গে যায় অনেক স্বপ্ন অনেক আশা।তবে কি এর কোনো সমাধাণ নেই?
অবশ্যই আছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে অবশ্যই আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক স্থূলতা কমানোর কিছু কৌশল।

সম্পূর্ণ রূপে খাবার গ্রহণ এর অভ্যাস বর্জন করা:
আমার প্রায়ই না বুঝে মনের তৃপ্তি মেটাতে অতিরিক্ত আহার করে ফেলি।তবে তা কখনই সঠিক নয়।দেহকে সুস্থ এবং স্থূলতা থেকে অবসান পেতে দৈনিক তিন বেলা পরিমিত ভাবে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ভুল ধারণা ত্যাগ করা:
অনেক এ ওজন কমানোর জন্য রাতের আহার ইত্যাদি এড়িয়ে যান এটি ভুল ধারণা।বরং এর ফলে গ্যাস্ট্রিক সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসকল ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে।

খাবার গ্রহণের সময় তাড়াহুড়া না করে চিবিয়ে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ এর অভ্যাস গড়ে তোলা:
খাবার হজম না হওয়া ওজন বৃদ্ধিতে অন্যতম সহায়ক। তাই ধীর স্থির ভাবে চিবিয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে।

ক্যালরিজাতীয় খাবার কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ওজন কমে যাবে এই ভুল ধারণা ত্যাগ করা:
একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষ এর দৈনিক ১২০০ ক্যালোরি প্রয়োজন।তাই অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ বর্জন করতে এটি ঠিক তবে সেই সাথে ওজন কমাতে এবং দেহ সুস্থ রাখতে সঠিক মাত্রায় ক্যালরি ঘাটতি ও পূরণ করা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।

সঠিক সময় খাবার গ্রহণ করা:পরিমিত ভাবে সঠিক সময় খাবার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা:
স্থুলতা বৃদ্ধি এবং দেহকে সুস্থ সবল রাখতে মাংস,চর্বি,ফাস্টফুড জাতীয় খাবার পরিমিত ভাবে গ্রহণ করতে হবে পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার যেমন:শাক-সবজি,ফল গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা।

ব্যায়াম এর অভ্যাস গড়ে তোলা:
খাবার গ্রহনের পর একটু কিছুক্ষন হাঁটি-হাঁটির অভ্যাস গড়ে তোলা।এই অভ্যাস খাবার সঠিক ভাবে হজম হতে সহায়তা করে।এবং প্রয়োজন মতো প্রাসঙ্গিক ব্যায়াম এর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

রাতে খাবার পর সাথেসাথে ঘুমিয়ে না পরা: ওজন বৃদ্ধিতে একটি বড় কারণ খাবার হজম না হওয়া তবে আমরা প্রায়সই রাতের খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পরি ফলে খাবার হজম হয়না এবং দেহে স্থূলতা বৃদ্ধি পেতে থাকে।তাই স্থূলতা নিয়ন্ত্রন এর জন্য ঘুমানোর কমপক্ষে ২/৩ ঘন্টা আগে খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

অনিয়মিত ঘুম পরিহার করা:অতিরিক্ত ঘুম স্থূলতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।একই সাথে অতিরিক্ত ঘুম আমাদের চলার পথে ও নানা সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে।তাই দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা এর কম ঘুমানো ঠিক নয় একই সাথে অতিরিক্ত ঘুম ও দেহের স্থূলতার জন্য ক্ষতিকর।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রন করা:
মানসিক চাপ খাবার গ্রহণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা স্থূলতা বৃদ্ধির একটি কারণ।একই সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ও ক্ষতিকর।তাই মানসিক চাপ কে নিয়ন্ত্রন করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।একই সাথে ইওগা সব মানসিক প্রাশান্তি লাভে সচেষ্ট থাকতে চেষ্টা করতে হবে।

গ্রীন টি জাতীয় পানীয় গ্রহন করা:
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার গ্রহণের অভ্যাস বর্জন করে নিয়মিত গ্রীন টি পান করার অভ্যাস গড়ে তোলা যা দেহের জন্য অতন্ত্য উপকারী একই সাথে স্থূলতা হ্রাসে ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

শারিরিক শ্রমকে অবহেলা না করে গুরুত্ব দিন:
শারীরিক শ্রম যুক্ত কাজ দেহকে সুস্থ রাখে।বিশেষ করে ব্যায়াম করার সময় না পেলে বাজার করা,জিনিস বহন,সবসময় রিক্সা ব্যবহার না করে হাঁটা-হাঁটি চালু রাখা অথ্যাৎ শ্রমসাধ্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা।পারলে নিয়মিত সকারে ৩০/৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা।

ফলাফল লাভে তারাহুরা না করা:
সর্বশেষ একটি বিষয় রাতারাতি ফলাফল লাভের আশায় বিভোর না হওয়া।দীর্ঘদিনের বদঅভ্যাস সহ নানা কারণে স্থুলতার বৃদ্ধি ঘটে তাই এটি হ্রাস করা ও একটু সময়সাধ্য বিষয় তাই কিছুদিন নিয়ম মতো সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলে দ্রুত ফল পাবেন এটা ভাবা বোকামি পাশাপাশি ফল না পেয়ে আবার পুরনো অভ্যাস এ ফিরে যাওয়া ও বোকামি।তাই ফল লাভের জন্য উপরোক্ত নিয়ম মেনে ধৈর্য ধরে নিজেকে সময় দিন এসকল নিয়ম ও অভ্যাস অাপনার স্থূলতা হ্রাস করতে সহায়তা করবে।

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন স্বাস্থ্য জার্নাল।
স্থুলতার সমাধান স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। স্থুলতার সমাধান স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। Reviewed by সম্পাদক on সোমবার, জুলাই ২০, ২০২০ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.