-->

বুড়িতিস্তা ব্যারেজ ও নদী ইতিহাস


মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ শাহ:
বুড়িতিস্তা নদী বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী। এটি ভারতের কোচবিহার জেলা ও বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত একটি আন্তর্জাতিক নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ৭৬ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ৬৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো" কর্তৃক বুড়িতিস্তা নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ৮৬। নদীটি তিস্তা নদীর একটি শাখা নদী এবং একসময় এটিই তিস্তার মূল ধারা ছিল। তিস্তা নদীটি আগে তিস্তা নদীর মূল ধারা ছিল কিন্তু কালক্রমে তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হলে এটি শাখা নদীতে পরিণত হয় এবং নাম হয় বুড়ি তিস্তা নদী। নদীটি ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। নদীটি গঙ্গাছড়া উপজেলায় গিয়ে পুনরায় তিস্তা নদীতে মিলিত হয়েছে। নদীটিতে জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার সীমান্ত ঘেষে  একটি সেচ প্রকল্প রয়েছে।
 নদীটি ভারতের কোচবিহার জেলা ও বাংলাদেশের নীলফামারি ও লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত। 

এসময় রুপাহারা, সিঙ্গাহারা ছিল এর শাখা ও উপশাখা নদী যেগুলো এখন মৃত। 
উল্লেখ্য খগারহাট নামক জায়গায় এই নদীর বন্দর ছিল যা খগারবন্দর নামে পরিচিত এবং সদরের ভাটিয়াপাড়া নামক এলাকায় এর একটি বন্দর বাছুরবান্দার ঘাট নামে পরিচিত ছিল।

নদীটির উপর সেচ প্রকল্পের জন্য যে ব্যারেজটি  ১৯৬২ মতান্তরে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক তৈরি করা হয়। 
এবং এই ব্যারেজের সাথে প্রায় ১৭-১৮ কিলোমিটার নালা পঁচারহাট থেকে শালহাটি পর্যন্ত বর্ধিত এবং ব্যারেজ থেকে গোলনা কালীগঞ্জ ও সাইড নালা পর্যন্ত বর্ধিত। 
জনশ্রুতিতে জানা যায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই ব্রিজটি গুড়িয়ে দেয়া হয়। 
পরবর্তীতে তা আবারো সংস্কার করা হয়।
বর্তমানে নদীটির ৭০% জায়গা বেদখল। নদীটি সংস্করণের জন্য কোন সরকারি পদক্ষেপ এখনো লক্ষ্য করা যায়নি। 
বেদখলের জন্য সিঙ্গাহারা নদীটি এখন মৃত প্রায়। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এ অঞ্চলের নাব্যতা হারিয়ে যাবে।

মতামতঃ নদীটি খনন করে তিস্তার সাথে সুইচ গেটের সাথে যদি নদীতে তিস্তার বর্ষাকালীন পানি সংরক্ষণ করা যায় এবং নালা গুলো খনন করে সেখানে পানি প্রবাহ বিস্তার করা যায় তাহলে এ অঞ্চলের তথা বড়খাতা, হাতিবান্ধা, ডিমলা, গয়াবাড়ি ও কুড়িগ্রাম, চিলমারী অঞ্চল গুলোর বন্য পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। 
কেননা বর্ষাকালীন পানি পুরোটাই রিজার্ভেশন করা সম্ভব এই নদীর প্রবাহ পথে। সেই সাথে ডোমার, জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার বিপুল অঞ্চল সেচের আওতায় আনা সম্ভব।

তথ্য সহায়তাঃ উইকিপিডিয়া

বুড়িতিস্তা ব্যারেজ ও নদী ইতিহাস বুড়িতিস্তা ব্যারেজ ও নদী ইতিহাস Reviewed by সম্পাদক on রবিবার, এপ্রিল ০৫, ২০২০ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.