গল্প: মায়ের রাগের কারণ।
লেখা: আয়েশা আক্তার রুনা, (বাগেরহাট)।
সুবর্নাপুর নামের একটি ছোট গ্রামে বসবাস করত এক কৃষক ও তার ছোট ছেলে। কৃষক ছিল সততার পূজারী। সে তার পরিবারকে ও সততার শিক্ষাই দিয়েছিল। খুব খুশিতে দিন কাটাচ্ছিল কৃষক ও তার পরিবার।
একদা কৃষক মারা যায়। ছোট ছেলেটিকে বুকে আগলে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন - যাপন করতে লাগল। তার ছেলেটি ছিল খুব দুরন্ত। সে বুঝত না তার মা কত গরীব। তার সব বায়না মেটানোর ক্ষমতা তার মায়ের নাই। তার মা খুব কষ্টে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত।
একদিন সে তার মাকে বলে মা আমি মেলা দেখতে যাব। মা তাকে কিছুতেই বুঝাতে পারে না ছেলের এই শক্ত আবদার মেটাতে পারবে না। সকাল বেলা ছেলেটি রাগ করে চলে যায়। সবুজ মাঠ, মাঠ পেরিয়ে নদী, আর কাশফুল যেন মন কেড়ে নেয়। ছেলেটি ছোট রাস্তা ধরে হাটতে থাকে। যেতে যেতে মেলার মাঝে উপস্থিত হয়। মা হাতি আর বাচ্চা হাতি দেখে সে দাড়িয়ে যায়। আর অন্যদের মতো সে ও চোখ বড় বড় করে দেখে তাদের কাজগুলো। সে দেখল বাচ্চা হাতি তার মাকে খেতে না দেওয়ায় সুড় দিয়ে দুরে সরিয়ে দিল। আবার তার মা বাচ্চা হাতিকে খাইয়ে দিচ্ছে। ঘটনাটি তার মনে সাড়া জাগাল।
সে অন্য পথ দিয়ে বাড়ি ফিরার সময় হঠাৎ তার ঐ রাস্তার পাশে থাকা গাছটার দিকে চোখ যায়। ঐ গাছে বাসা বেধেঁ আছে টুনটুনি পাখির পরিবার। বাচ্ছা পাখিটিকে মা খাবার খাওয়াচ্ছেন। পায়ের শব্দ পেয়ে মা পাখি ডানার নীচে লুকিয়ে নিল।
এরপর সে বাড়িতে চলে এলো।
অনেক বেলা হয়েছে। মা ও কাজ থেকে ফিরেছে।ছেলেটি তার মাকে জড়িয়ে ধরে। তখন মা বলল আজকে তোকে মেলা নিয়ে যাব। মাইনে পেয়েছি। ছেলেটি আবার ও তার মাকে জড়িয়ে ধরে আর বলে আমি আর মেলা যাব না। আমি আর রাগ করব না। তুমিও আর রাগ করো না মা।
গল্প: মায়ের রাগের কারণ।
Reviewed by সম্পাদক
on
বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৩০, ২০২০
Rating:
