আব্দুল্লাহ,(বগুড়া):
আমাদের জীবনে ব্যর্থতা আসার অন্যতম একটা কারণ রয়েছে,তা হলো কাজের প্রতি অনিহা।
আমরা আসলে সহজে পরিশ্রম করতে চাই না। আমরা সবসময় চিন্তা করি কিভাবে সহজে কোনো কাজ শেষ করে ফেলতে পারবো।পরিশ্রম এর দ্বারা কোনো কাজ করতে আমরা চাইনা বললেই চলে!আমরা সব কাজে সবসময় ভাবি এবং খুঁজতে চেষ্টা করি কাজ টা কিভাবে শর্টকাট এ কোনো পরিশ্রম না করেই সম্পূর্ন করা যায়।এভাবে ধীরে ধীরে গড়ে উঠে কাজের প্রতি অনিহা।এই অনিহামূখর স্বভাব জন্মদেয় অলসতার এবং বয়ে আনে ব্যর্থতা।
কোনো কাজ করার ব্যপারে কাজ বা পরিশ্রম কে দূরে সড়িয়ে দিয়ে শর্টকাট পথ খোঁজার পথ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।সবসময় পরিশ্রমের দ্বারা সফলতার সন্ধান করতে হবে।তবেই সফলতা বিজয় মুকুট হয়ে ধরা দিবে।
কাজের প্রতি অনিহা আর কর্মবিমূখতা পথ থেকে সরে এসে পরিশ্রমের দ্বারা ব্যর্থতা এর পরাজয় করে সফলতা বয়ে আনতে চাইলে আমাদের কিছু বিষয় এর প্রতি দৃষ্টি রাখতে হবে।তবেই আমরা ব্যর্থতাকে পরিশ্রমের চাদরে মুরিয়ে বিজয় মুকুট অর্জন করতে সক্ষম হবো।
★নিজের লক্ষ্য কে সঠিক ভাবে নির্ধারণ করতে হবে:
আমরা অনেক সময় নিজে কি করতে চাই এটা ভুলে গিয়ে অন্যের পথ চেয়ে বসে থাকি।অন্যরা কি করলো,ওদের লক্ষ্য কি?ওরা কতদূর যেতে পারলো?ওরা পারেনি মানে আমিও পারবোনা!এরূপ নানা প্রশ্ন নিজেকে করে নিজেকে বিব্রত করে ফেলি এবং নিজের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে আসি।এজন্য প্রথমে নিজে কি করতে চাই তা দৃঢ় মনোবল নিয়ে ঠিক করতে হবে।
★নিন্দুকগণ দের সমালোচনার পাহাড় কে উপেক্ষা করতে হবে:
অনেক সময় আমরা কোনো কাজ শুরু করার আগেই হাল ছেড়ে দেই লোকে কি বলবে বা নিন্দুকদের নানা হতাশার বাণী শুনে।একটা কথা মনে রাখতে হবে যদি কেউ কোনো কাজ কে বলে,যে এই কাজটি তুমি পারবেনা বা অসম্ভব তার মানে তিনি তার জীবনে এ কাজটি পারেননি তার মানে এই না যে তুমি ও পারবেনা।তাই নিজের লক্ষ্যে সবসময় অবিচল থাকতে হবে এবং সমালোচনার মুখে বা কারো হতাশার বাণীতে পিছিয়ে পরলে চলবেনা।
★ইতিবাচক চিন্তা-চেতনা করা:
কাজ করতে গেলে সফলতা অর্জনের পথে নানা বাধা-বিপত্তি আসতে পারে।তবে তার জন্য নিজেকে ব্যর্থ ভেবে পিছিয়ে আসার মাঝে সার্থকতা নেই বরং ভুল বা বাধা থেকে শিক্ষা নিয়ে সফলতার পথে অবিচল থাকার ইতিবাচক মনোভাবই পারে সফলতা এনে দিতে।
★বিভ্রান্ত হয়ে না পরা এবং ধৈর্য ধারণ করা :
অনেক সময় একটা কাজ করতে গিয়ে আমরা নতুন নতুন নানা কাজের সাথে পরিচিতি লাভ করি অনেক সময় দেখা যায় এর ফলে একই সাথে সবকিছু করার মনোভাব জন্ম নেয় ফলে শেষ পর্যন্ত ঠিক করে নেয়া কাজটিই সফলতা লাভ করেনা সেই সাথে অনান্য কাজ গুলো ও না।তাই যেই কাজই করিনা কেনো মন কে স্থির রেখে সেই কাজ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করতে হবে।
এই ছোট্ট কয়েকটি বিষয় এ দৃষ্টি দিয়ে দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজের লক্ষের দিকে এগিয়ে গেলে ব্যর্থতা সফলতার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাদ্ধ হবে এবং সফলতার বিজয় ধ্বনীতে চারপাশ মূখরিত হয়ে উঠবে।
ব্যর্থতাকে পরাজিত করার কৌশল।
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, এপ্রিল ১৫, ২০২০
Rating:
