-->

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব: ২০১৯-২০২০



শেখ একেএম জাকারিয়া,(সুনামগঞ্জ):
করোনা ভাইরাস এই সময়ে পৃথিবীজুড়ে এক প্রাণঘাতী আতঙ্কের নাম। ইতোমধ্যে এই ভাইরাস চীনসহ বিশ্বের ২১০টির বেশি দেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এশিয়ার পর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে মহামারি আকার ধারণ করেছে এই ভাইরাস। সাধারণ লোক থেকে শুরু করে উচ্চ পদস্থ  কর্মকর্তা, মন্ত্রী, উপদেষ্টা কেউই রেহাই  পাচ্ছেন না এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে। বিশ্বজুড়ে চলছে মৃত্যুর মিছিল৷ সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভয়ানক মন্দার আতঙ্ক৷ করোনার কবল থেকে কবে মুক্তি পাওয়া যাবে, সেটা কেউ জানে না। তবে  মুক্তির অপেক্ষায় আছে বিশ্ববাসী৷ করোনা ভাইরাস কী?  কীভাবে হলো এর উৎপত্তি? এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা  কৌতুহল  ও আতঙ্ক। আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই এ ভাইরাস  সম্বন্ধে। করোনা ভাইরাস বলতে ভাইরাসের একটি শ্রেণি বা বিভাগকে বোঝায় যা স্তন্যপায়ী প্রাণী ও পাখিদের আক্রান্ত করে। মানুষের মধ্যে  করোনা ভাইরাস শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়। এই সংক্রমণের লক্ষণ হালকা হতে পারে, অনেকসময় যা গতানুগতিক সর্দি-কাশির মতো মনে হয় (এছাড়া অন্য কিছুও হতে পারে। যেমন, রাইনো ভাইরাস), কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য প্রাণঘাতী ভাইরাসের জন্য হয়ে থাকে। যেমন সার্স, মার্স এবং কোভিড-১৯। তবে অন্যান্য প্রজাতিতে এই লক্ষণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন, মুরগির মধ্যে এটা উর্ধ্ব শ্বাসনালীর সংক্রমণ ঘটায়, আবার গরু ও শূকরে এটি উদরাময়  সৃষ্টি করে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়ানোর মতো কোনও টিকা বা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আজও আবিষ্কৃত হয়নি। তবে  ইদানিং ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে,  জাপানে করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিস্কৃত হয়েছে। করোনা ভাইরাস রাইবোভিরিয়া পর্বের নিদুভাইরাস বর্গের করোনাভিরিডি গোত্রের অর্থোকরোনাভিরিন্যা উপ-গোত্রের সদস্য। তারা পজিটিভ সেন্স একক সূত্রবিশিষ্ট আবরণীবদ্ধ বা এনভেলপড ভাইরাস। তাদের নিউক্লিওক্যাপসিড সর্পিলাকৃতির। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৭ থেকে ৩৪ কিলোবেস-পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনা ভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন ভাষার করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট অর্থাৎ মালা বা হার। কারণ দ্বিমাত্রিক সঞ্চালন ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটির আবরণ থেকে গদা-আকৃতির প্রোটিনের কাঁটাগুলির কারণে এটিকে অনেকটা মুকুট বা সৌর করোনার মতো দেখায়। ভাইরাসের উপরিভাগ প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রমিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। ভাইরাসটি ডাইমরফিজম রূপ প্রকাশ করে। ধারণা করা হয়, প্রাণীর দেহ থেকে এই ভাইরাস প্রথম মানব শরীরে প্রবেশ করে। করোনা ভাইরাসের অতীতকথা পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করলে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে গতানুগতিক  সর্দি-হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে এরকম দু'ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামপ্রদান করা হয়। এরপর থেকে পৃথিবীর  বিভিন্ন দেশে, বিভিন্ন সময়ে  ভাইরাসটির আরও কিছু প্রজাতি পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএসসিওভি’,
২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’,
২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে
‘এমইআরএসসিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে চীনে 'এসএআরএস-সিওভি-২’
পাওয়া যায় (যা এ সময়ে  সাধারণত নোভেল করোনা ভাইরাস নামেই পরিচিত)। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের মারাত্মক  সংক্রমণ দেখা দেয়। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, অবসাদ, শুষ্ক কাশি, বমি হওয়া,শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, অঙ্গ বিকল হওয়া, মাথা ব্যাথা, পেটের সমস্যা ইত্যাদি। তবে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকে না। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রমণ দেখা দেয়।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে‘২০১৯-এনসিওভি’ নামপ্রদান করে।

২০২০ সালের ১৮ এপ্রিল  পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২১০টিরও বেশি দেশ ও অধীনস্থ অঞ্চলে ২২,৫৬,৮৪৪ জনেরও (২২ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮শত ৪৪ )  বেশি ব্যক্তি মরণব্যাধি করোনাভাইরাস রোগ ২০১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। এদের মধ্যে ১,৫৪,৩৫০ জনের বেশী ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে এবং ৫,৭১,৮৫১  জনের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেছে। তারমধ্যে  বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ২,১৪৪ জন। সুস্থ হয়ে ওঠেছে ৬৬ জন। মৃত্যুর সংখ্যা ৮৪ জন।

উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়। অনেকের ধারণা,  নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধিতা করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়,সকল প্রকার
করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ সাধারণ পূর্বপুরুষ  এর উৎপত্তি ঘটে আনুমানিক ৮০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। আলফা করোনা ভাইরাসের এমআরসিএ ধারা ২৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, বেটা করোনা ভাইরাসের ধারা ৩৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, গামা করোনা ভাইরাসের ধারা ২৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এবং ডেল্টা করোনা ভাইরাসের ধারা ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তৈরি হয়েছে। বাদুর এবং পাখির মত উড়ন্ত উষ্ণরক্তধারী
মেরুদণ্ডী প্রাণীরাই করোনা ভাইরাস জিন-উৎসের বিবর্তন এবং ছড়িয়ে দেওয়ার আদর্শ বাহক (বাদুড়ের জন্য আলফা ও বেটা করোনা ভাইরাস, পাখির জন্য গামা এবং ডেল্টা করোনা ভাইরাস)। বোভাইন করোনা ভাইরাস এবং ক্যানাইন
শ্বসনযন্ত্রের করোনা ভাইরাসের শেষ পূর্বপুরুষ এসেছে (~ ১৯৫০) এর দিকে। বোভাইন এবং মানব করোনা ভাইরাস ওসি৪৩ ১৮৯০-এর দিকে ছড়ায়। বোভাইন করোনা ভাইরাস ছড়ায় ইকুয়াইন করোনা ভাইরাস প্রজাতি থেকে, ১৮ শতকের শেষদিকে। মানব করোনা ভাইরাস ওসি৪৩-এর এমআরসিএ ১৯৫০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে।
মার্স-কোভি কিছু বাদুড়ের করোনা ভাইরাস
প্রজাতির সাথে সম্পর্কযুক্ত হলেও ধারণা করা হয় বেশকিছু শতাব্দী আগে এর উৎপত্তি ঘটে। মানব করোনা ভাইরাস এনএল৬৩ এবং একটি বাদুড়ের করোনা ভাইরাসের এমআরসিএ ৫৬৩-৮২২ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করে। ১৯৮৬ সালে বাদুড় করোনা ভাইরাস এবং সার্স-কোভির সাথে সম্পর্কযুক্ত ভাইরাস উৎপত্তি লাভ করে। বাদুড়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত সার্স ভাইরাসের বিবর্তনের একটু যাত্রাপথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। গবেষকেরা মনে করেন, করোনা ভাইরাস দীর্ঘসময় ধরে বাদুড়ের সাথে সাথে বিবর্তিত হয়েছে এবং সার্স-কোভির উত্তরসূরীরা প্রথমে হিপোসিডারিডি গণের প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। এরপরে তা রাইনোলফিডির প্রজাতির মধ্যে, পরবর্তীতে ভামের মধ্যে এটি ছড়ায় এবং সর্বশেষে ছড়ায় মানুষের মধ্যে। আলপা করোনা ভাইরাস এবং মানব করোনা ভাইরাস ২২৯ই ১৯৬০-এর দিকে উৎপত্তি লাভ করে। ক্ষতির দিক থেকে করোনাভাইরাস বেশ বৈচিত্র্যময়।  কিছু প্রকরণ আক্রান্তের
৩০%-এরও বেশিকে মেরে ফেলে (যেমন মার্স-কোভি), কিছু প্রকরণ মোটামুটি নিরীহ, যেমন সাধারণ ঠাণ্ডা। করোনা ভাইরাস ঠাণ্ডার পাশাপাশি বড় ধরণের কিছু উপসর্গ সৃষ্টি করে। যেমন, জ্বর, ফুলে যাওয়া অ্যাডিনয়েডের ফলে গলা ব্যথা।এগুলো সাধারণত শীতকালে এবং বসন্ত ঋতুর শুরুর দিকে হয়। করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া
ঘটাতে পারে । ২০০৩ সালে সার্স-কোভি ছড়ানোর পর থেকে করোনা ভাইরাস পরিচিতি পায়। এই ভাইরাস একইসাথে সিভিয়ার এ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং উর্ধ্ব  ও নিম্ন শ্বাসনালী সংক্রমণ ঘটায়। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, 'ভাইরাসটি হয়ত মানুষের দেহকোষের ভেতরে ইতোমধ্যেই 'মিউটেট করছে' অর্থাৎ গঠন পরিবর্তন করে নতুন রূপ নিচ্ছে এবং সংখ্যাবৃদ্ধি করছে - যার ফলে এটি আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।' কিন্তু এ ভাইরাসের প্রকৃতি এবং কীভাবেই বা তা রোধ করা যেতে পারে - এ সম্পর্কে এখনও বিজ্ঞানীরা বিশদভাবে জানার চেষ্টা করছেন। সার্স বা ইবোলার মতো নানা ধরণের প্রাণঘাতী ভাইরাসের খবর মাঝেমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমে আসে। এই করোনা ভাইরাস তারমধ্যে সর্বশেষ। করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৭টি প্রজাতি মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে। এক দশক আগে সার্স (পুরো নাম সিভিয়ার এ্যাকিউট রেস্পিরেটরি সিনড্রোম) নামে যে ভাইরাসের সংক্রমণে পৃথিবীতে ৮০০ লোকের মৃত্যু হয়েছিল সেটিও ছিল এক ধরণের করোনা ভাইরাস।এতে আক্রান্ত হয়েছিল ৮ হাজারেরও বেশি লোক। এছাড়া বিজ্ঞানীরা জানান, ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের  পর সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগে। প্রথম লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। তারপর দেখা দেয় শুকনো কাশি। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট  ও জ্বর এবং তখন কোনও কোনও রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়,উহান শহরের বিমানবন্দরে সতর্কবাণী ছিল
' ভাইরাসটি ছড়িয়েছে কোনও প্রাণী থেকে '
বিশেষজ্ঞদের মতে, 'মধ্য চীনের উহান শহর থেকে এই রোগের সূচনা। ৩১ ডিসেম্বর এই শহরে নিউমোনিয়ার মতো একটি রোগ ছড়াতে দেখে চীনের কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। তারপর ১১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম সে শহরের একজনের মৃত্যু হয়।' তবে ঠিক কীভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল তা এখনও নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সম্ভবত কোনও প্রাণী এ ভাইরাসের উৎস ছিল। প্রাণী থেকেই প্রথমে ভাইরাসটি কোনও  মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে এবং পরে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়েছে। তারা আরও জানান, উহান শহরে সামুদ্রিক খাবারের একটি বাজারে আসা যাওয়া করে এমন লোকদের সঙ্গে এ ভাইরাসের যোগসূত্র  আছে। কেননা, ওই বাজারটিতে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী যেমন, বনমোরগ, বাদুড়, খরগোশ ও সাপ বেচাকেনা হয়ে থাকে। এছাড়া কিছু সামুদ্রিক প্রাণী যেমন, বেলুগা জাতীয় তিমি করোনাভাইরাস বহন করতে পারে। হয়ত এসবের কোনও একটি থেকে এই  ভাইরাস এসে থাকতে পারে। যেহেতু এই ভাইরাসটি নতুন, তাই এর কোন টিকা বা ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কার হয়নি এবং এমন কোনও চিকিৎসা নেই যা এ রোগ ঠেকাতে পারে। এর হাত থেকে রক্ষা পাবার একমাত্র উপায় হলো, যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে বা এ ভাইরাস বহন করছে - তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। তাছাড়া ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন, বার বার হাত ধোয়া, হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরা। হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গ্যাব্রিয়েল লিউং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এ নির্দেশনায় বলছেন, হাত সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বার বার হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষা যাবে না, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে।
উল্লিখিত আলোচনার প্রেক্ষাপটে  এটাই বলা যায় যে, এ রোগের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিজেদেরকে  সচেতন হতে হবে, পাশাপাশি অন্যদেরকে সচেতন করতে হবে। আসুন সবাই নিজেকে বাঁচাই, হোম কোয়ারান্টাইন মেনে চলি,  যদি অসুস্থ হয়ে থাকি তবে মাস্ক পরি এবং এমনভাবে হাঁচি- কাশি দিই যাতে অন্যরা সংক্রমিত না হয়, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মাস্ক পরি।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব: ২০১৯-২০২০ করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব: ২০১৯-২০২০ Reviewed by সম্পাদক on শনিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২০ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.