নজরুল ইসলাম তোফা:
আমি শুয়ে শুয়ে ভাবি মাথাটা শূন্য কি লিখব, কি লিখব ভাই আমি? দিন কাটে তো রাত কাটে না কি যে করি কি ভাবি। ভাবনায় মগজে চলে ঝড়, যেন কালবৈশাখী ঝড় আমি যে শব্দ খোঁজে পাইনা। আসেও না মগজে শান্তির কথা। কয়েকটিবার লিখেছি ভালো নেই। অল্পকিছু কথা এখন লিখি মনে যা আসে তাই, মন বলে-তারুণ্যের দিন আমার শেষ। ভাষা খোঁজেও যে পাই না, আমার যা ছিল সততা শুদ্ধতা সেতো বর্তমান ও আগামীকে নিয়ে। কেউ কি উদাহরন হিসেবে আমাকে নিয়ে দূ'কলম লিখবে কি না জানি না। আমার আত্মাতে 'শান্তি' দেওয়ার একনিষ্ঠ সাধনার সাধক পুরুষ কে আছে জানি না। না পাওয়াকে ছাড়িয়ে হতাশাকেই মাড়িয়ে এখনো আমি ভাবি,.. শুধুই ভাবি। স্বদেশকে ভালোবাসি, বিজয়ের পতাকা উড়ানো বীর আমি নই। তবুও স্বাধীনতার কথা বলি। বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, তাঁর আদর্শের কথা বলি। শত্রুরা পরাজিত হয়েছে কি হয়নি তাতো আমার লেখা হয়নি। সর্ববিজয়ী মহাবীর আজ তুমি বঙ্গবন্ধু। তুমি আমার অন্তরে আছো, আজ আমি যে ক্লান্ত, ভুলানো তোমাকে আর একটু যদি সময় হয়। লিখবো তোমাকে। লিখার সাহস হয়নি বলেই তোমাকে আজও দু-কলম লিখতে পারি নি। আর একটু বাঁচার ইচ্ছে জাগে। সৃষ্টি কর্তা তুমি আমায় সুস্থতা দাও- দাও শক্তি, সাহস এবং মনোবল।
আমার মাথা আর যদি কাজ না করে। আমার এই লেখা শব্দগুলি দয়া করে কখনো ডিলিট করবেননা ভাইজান। আপনারা যে হাত বাজিয়ে দিয়েছেন আমার মৃত্যুর পরে যেন তরুণপ্রজন্মরা পড়ে। তা যেন ইতিহাস হয়েই থাকে। আমার সকল তনুমন প্রান আজ থরথর করেই কাঁপছে, তাতে শুধু একটি মাত্র সুরেই ধ্বনিত হচ্ছে আরকি আমি আপনার মনে খোরাক সামান্য দুকলম লেখা দিয়ে পুরন করতে পারবো কিনা। আপনারা আমাকে অনেক ভালো বাসা দিয়েছেন আমি ধন্য। যে দিন আমার এমন ''লেখা'' আপনাদের ভাল লেগেছে। সেদিন থেকেই আমি অনেক কল্পনা করেই রেখেছি বছর শেষে একটি "প্রবন্ধ পুস্তক" বাহির করবো। আর একটি লেখা আমার পরিপূর্ণ তৈরি আছে তা আগামীতে প্রকাশ করবো। কি অসম্ভব সময়ে আমার- অসুখ, কি করুন পরিনতি আমার। আমার এই জন্ম গ্রহন কি বৃথা হয়ে যাবে। আমি একজন সৃষ্টিকর্তার খাদেম। মনোবল আমার এখন যে খুবই 'দুর্বল'। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি মুসলমান। আমি নাস্তিক নই
আমি এই দেশে এই সমাজে জন্মেছি বলেই আমি এমন দেশেরই এই সমাজেরই শুধু নই, আমি সকল মানুষের। সুন্দরের ধ্যান, শৈল্পিক চর্চার মধ্যেই আমার জীবন, তার নান্দনিকতা মাঝেই আমার "ধর্ম"। নাট্যাভিনয় বা নাটক পড়া এবং লেখার চর্চা করার চেষ্টা আমার নিত্য দিনের কর্ম। আমার সারা জীবনের সাধনা ছিল আমি এক জন শিল্পী হবো। তা পুরন হয়েছে, আমি একজন চিত্র শিল্পী। শুধুমাত্র সুন্দর কিংবা অসুন্দরকে এমন হাতের ছোঁয়ায় শৈল্পিককতার রূপ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমার এ হাতে কেমন যাদু আছে তার দেখা আজো মেলেনি। পদ্মফুলই দেখিনি, শাপলা ফুলও ফুটেনি। আমার এই চোখে চোখ ভারা জল আজো শুকাইনি। শ্বশানের পথে, গোরস্থানের পথে, ক্ষুধা মানুষের ব্যথিত জীবনের কাছে আছো যেন আমার কোমল তুলির আঁচড় পড়েনি। বৃদ্ধাশ্রমের দুঃখী মানুষের পাশে আজো দাঁড়ানো হয়নি।,কারাগারের যেই মানুষ গুলো কি অপরাধে অন্ধকূপেই আছে, তাদেরকে আমার আজো বিশ্লেষণ করা হয়নি। ফাঁসির মঞ্চে তাকে দেখবো বলে দিনে দিনে বড় হয়েও আজো দেখা হয়নি। খামাখা আমার অনেক ইচ্ছা, লোকের মনে করে আমি 'পাগল'। তাতে কি নাটকে ঠিক ময়েজ পাগলা হয় ১০৫ পর্বে অভিনয় করেছি। ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলাম বড় বড় অভিনেতাদের। 'আই অ্যাম ময়েজ পাগলা, সব শালারে দিবো বাঁশ, কাঁপন ছাড়া দাফন হবে লাশ।' কেউ যদি এ সংলাপের- "চোরকাব্য নাটক" না দেখে থাকেন তা হলে ইউটিউব lovetv তে চলে যান। এ নীরিহ ময়েজ পাগলা মানুষটাই গ্রামের মানুষকে আছড়ে-কামড়ে তেড়ে নিয়ে বেড়ায়। ইচ্ছা আমার কোন দিনই শেষ হবে না। আমার নাট্যগুরু, নাট্যকার ও পরিচালক 'শিমুল সরকার' যতো দিন বেঁচে থাকবেন, আর আমি যদি বেঁচে থাকি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অত্যাচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদী এক মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ যুদ্ধ বিগ্রহ, আর সাধারণ মানুষের জীবনে একদিকে কঠোর দারিদ্র-ঋন-অভাব, অন্যদিকে লোভ লালসার বেশকিছু মানুষ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা পাষান স্তুপের মতো জমা করে রাখছে। এই অসম ভেদ জ্ঞানকে দূর করতেই আমি- বেঁচে থাকতে চাই। আমার প্রবন্ধ, কাব্য, সংগীত, শিল্প চর্চা এবং কর্ম জীবনের সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করতে বেঁচে থাকতে চাই। আমি যশ চাই না খ্যাতি চাই না এবং প্রতিষ্ঠা চাইনা, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো নেতা হতে চাই না। জীবনে আমার যতোই "কষ্ট আর দুঃখ" আসুক না কেন, আমি সৃষ্টি কর্তার কাছে শুধুমাত্র এই জীবন-ভিক্ষা চাই। আমি দিয়ে যাবো নিজকে নিঃশেষ করে সকলের মাঝে বিলিয়ে, সকলের বাঁচার মাঝে থাকবো আমি বেঁচে। এই আমার ব্রত এ আমার সাধনা এই আমার তপস্যা। 'বাবা' আমার নাম রেখেছেন 'নজরুল ইসলাম'। শখ করে যেন আরও উপহার দিলেন নামের সঙ্গেই- "তোফা"। বাবাকে একদিন প্রশ্ন করেছিলাম তোফা কেন নামের সঙ্গে বাবা, বাবা বললেন, আমি তো কাজী নজরুল ইসলামের ভক্ত তাই তোমার- নামটে তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছি। তার উপহার হিসেবেই তুমি আমার কাছে "তোফা"। তাই এখন আমিও কাজী নজরুল ইসলামকে হৃদয়েই লালন করি। আর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার ধ্যানজ্ঞান তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু কিছু দিন বাঁচিতে চাই, চাই খোদার কাছে সুস্থতা আর তোমরা কি দেখিতে কি পাও আমি এখন উন্মাদ। কঠিন জ্বর দু'তিনদিন ধরে ঘুম নেই তাই আবোলতাবোলেই চলি।
করোনা ভীতি আমার চোখে জল এনেছে বিনা কারণে। আমার শুধুই যে জ্বর, সামান্য পেশার আর- দীর্ঘ দিনের ডায়াবেটিস সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস আমাকে যেন আতঙ্কিত করেছে। আজ জীবনাকাশে একি কঠিন বাজ হেনেছে বিনা কারণে। দিনে দিনে দিন ফুরায়, রাত এসে আঘাত হানে, কি মুল্য দিতে হবে আমায় জানি না- ১০৫ ডিগ্রি জ্বর, কখনো কখনো চাদর মুড়ি দিয়ে কাঁপতে হয় জ্বর তো হয় তা তো নতুন নয়, কিন্তু করোনা ভাইরাসের ভয় আমায় লকডাউন করেছে। অবশ্যই- বিনা কারণেই সে যে আমায় চিনে নিলোই কি নিলোনা, আমি জানবো কি করে। এ জীবনে অনেক যতন করে যা প্রেমের বীজ বুনেছি তা কি বিফলে যাবে। আমি তো খুঁজি কারণ মন আমায় করে বারণ, কোথায় যাই কি যে খাই, পাই বা না পাই তবুও খাই, যে যা বলে তাই। মন আমার আজ কেন সেই আগুনে জ্বলে। আমি যে অনেক উপদেশ পাই প্রিয় বন্ধুদের কাছে, তাতে কিছুটা শস্তি মিলে। আমার আছে ''টেলিভিশন, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল'' কিংবা আমার প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষী সহ কাছের প্রিয়- ভাই ও বন্ধু।তাদের মজার কিছু উপদেশে আমার শান্তি মিলে। সবাই আমাকে প্রানখুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করবেন ভাই।
লেখক:
টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী,
সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।
কঠিন জ্বর ২/৩দিন ধরে ঘুম নেই আবোলতাবোল বলে চলি।
Reviewed by সম্পাদক
on
সোমবার, এপ্রিল ১৩, ২০২০
Rating: