ফাতেমা আক্তার মনিরা,(ঢাকা):
নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম একটা মানুষের জীবনে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অনেক এই নানান ব্যস্ততার কারণে ব্যায়াম করার সুযোগ বা সময় পান না। সব ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে "হাঁটা" হচ্ছে সবথেকে সহজ ব্যায়াম।
শুধু কি ডায়েবিটিস কিংবা হৃদরোগে আক্রান্ত হলেই হাঁটতে হবে? নাহ! এমন কোনো নিয়ম নেই।
হাঁটা সকল ধরনের মানুষের জন্যেই উপকারী।
হাঁটা সকল ধরনের মানুষের জন্যেই উপকারী।
নিয়মিত হাটার অনেক উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কয়েকটি উপকারিতার কথা আজকে আমরা জানবো -
১.প্রানবন্ত মন:
সাধারণত সকালের পরিবেশ থাকে শান্ত,স্নিগ্ধ।তাই সকালে হাঁটতে বের হলে মন ও শরীর এমনিতেই সতেজ লাগে। একজন মানুষ যখন হাঁটতে শুরু করে,
তার শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে অক্সিজেনের প্রাণপ্রবাহে মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়, যার কারণে পুরো শরীর সতেজ হয়ে উঠে।
২.হার্ট ভালো থাকে:
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।হাঁটার সময় শরীরের প্রতিটি জয়েন্ট অক্সিজেন প্রবাহ হওয়ায় শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। হাঁটার সময় শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর-এর মাত্রা বেড়ে যায়।
নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে হার্টের অসুখ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।হাঁটার সময় শরীরের প্রতিটি জয়েন্ট অক্সিজেন প্রবাহ হওয়ায় শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। হাঁটার সময় শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিআর কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল এইচডিআর-এর মাত্রা বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্ট্রোক এসোসিয়েশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটেন, তাদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে, তাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। এছাড়া নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে শতকরা ২৭ ভাগ পর্যন্ত উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা কমে। ফলে হার্টের বিভিন্ন রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে ও স্থূলতার ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত হাঁটার পরামর্শ দিয়েছেন হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষজ্ঞরা।
৩.ওজন নিয়ন্ত্রণে সহজ ব্যায়াম:
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্যে সবথেকে সহজ ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। প্রতিদিন হাঁটলে শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমান ক্যালরি পুড়ে যায়, যার প্রভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্যে সবথেকে সহজ ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। প্রতিদিন হাঁটলে শরীর থেকে নির্দিষ্ট পরিমান ক্যালরি পুড়ে যায়, যার প্রভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
৪.স্মৃতিশক্তি বাড়েঃ
নিয়মিত হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে, যার ফলে স্মৃতিহানি হওয়ার আশংকা ৪০ ভাগ কমে যায়।
নিয়মিত হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে, যার ফলে স্মৃতিহানি হওয়ার আশংকা ৪০ ভাগ কমে যায়।
যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল পথ হাঁটেন তাদের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে।
৫.দৃষ্টিশক্তি ভালো করেঃ
সকালে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
সকালে সবুজ ঘাসের উপর হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।গবেষণায় দেখা গেছে যে সকালে খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
৬.মানসিক চাপ কমায়ঃ
যেহেতু হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে, তাই মানসিক চাপে কমে যায়। বিষন্নতা কমাতে প্রতিদিন সকালে সুন্দর পরিবেশে হাঁটার অনেক উপকারিতা আছে।
যেহেতু হাঁটার ফলে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে, তাই মানসিক চাপে কমে যায়। বিষন্নতা কমাতে প্রতিদিন সকালে সুন্দর পরিবেশে হাঁটার অনেক উপকারিতা আছে।
৭.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
প্রতিদিন সকালে হাঁটলে শরীরের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
প্রতিদিন সকালে হাঁটলে শরীরের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
এছাড়াও আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে যেমন-
★রক্তের সুগার কমায়।
★রক্তের সুগার কমায়।
★ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, আন্থ্রাইটিস, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রন করে।
★হার্টের সমস্যা,স্ট্রোক হবার ঝুঁকি কমায়
★হাঁড় শক্ত করে
★রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
★ফলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরের সামগ্রিক শক্তি বা ফিটনেস বাড়ে
★ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমায়
★হাঁড় শক্ত করে
★রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
★ফলে হার্ট ভালো থাকে, শরীরের সামগ্রিক শক্তি বা ফিটনেস বাড়ে
★ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমায়
★মাসেলের শক্তি বাড়ায়
★হেলদি বিএম আই ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়
★হেলদি ওয়েস্ট টু হিপ রেসিও ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়,
★মেটাবলিজম বাড়ায়
★শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে
★তারুণ্য ধরে রাখে
★ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায়
★ভালো ঘুম হয়
★রক্ত নালীর দেয়ালে চর্বি জমতে দেয়না
★হাঁটলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হাঁটার কত উপকারিতা রয়েছে।
★হেলদি বিএম আই ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়
★হেলদি ওয়েস্ট টু হিপ রেসিও ধরে রাখে বা অর্জন করা যায়,
★মেটাবলিজম বাড়ায়
★শরীরের সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ভালো থাকে
★তারুণ্য ধরে রাখে
★ব্রেইনের কার্যকারিতা বাড়ায়
★ভালো ঘুম হয়
★রক্ত নালীর দেয়ালে চর্বি জমতে দেয়না
★হাঁটলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
সুতরাং বুঝতেই পারছেন, হাঁটার কত উপকারিতা রয়েছে।
নিয়মিত হাঁটার উপকারিতা।
Reviewed by সম্পাদক
on
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২১, ২০২০
Rating:
