অনলাইন ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত এক শিশু শুধু কাঁদছে।এদিক ওদিক চেয়ে শুধু তার বাবা-মাকে খুঁজছে।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার পর ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশু একেবারেই একা হয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে তার আশপাশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আহত লোকজনদের মধ্যে একটি কন্যা শিশুকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটি তার নাম বলতে পারছে না। তার সঙ্গে থাকা বাবা-মা বা কোনো অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শিশুটি দুর্ঘটনায় আক্রান্ত উদয়ন এক্সপ্রেসে ছিল বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। বর্তমানে সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তার স্বজনদের খুঁজে পেতে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন অনেকেই।
তার স্বজনদের কোনো সন্ধান পেলে রেলওয়ে পুলিশের সঙ্গে কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অভিভাবকের সন্ধান চায়।
আখাউড়া রেলওয়ে থানা পুলিশের ওসি শ্যামল কান্তি দাস জানান, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আসামাত্রই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই ট্রেনেরই কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পর এখন পর্যন্ত ১৬ জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে। উদ্ধারের কাজ চলছে।
ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফ ট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝ বরাবর দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। সেখানে কেউ আটকে পড়ে আছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
দুর্ঘটনাটি ঘটার সময় ট্রেন দুটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট-চট্টগ্রামের মধ্যে রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
সূত্র: যুগান্তর।
আপডেট: পাওয়া গেছে শিশুটির পরিবারের সন্ধান।
আপডেট: পাওয়া গেছে শিশুটির পরিবারের সন্ধান।
কাঁঁদছে শিশুটি, খুঁঁজছে বাবা-মা কে।
Reviewed by সম্পাদক
on
মঙ্গলবার, নভেম্বর ১২, ২০১৯
Rating: