লাভলী ইসলাম,(লন্ডন থেকে):
"দেখো দেখো
ঐ দেখা যায় নদীর ওপারে
শীতের বুড়ি আসছে ধেয়ে ছালা গায়ে দিয়ে ।"
ঐ দেখা যায় নদীর ওপারে
শীতের বুড়ি আসছে ধেয়ে ছালা গায়ে দিয়ে ।"
শীতের পূর্বাভাস নিয়ে এসেছে শরৎ শেষে হেমন্ত ঋতুপূর্ণা । বর্ষার ছলছল অঢেল জল নেমে পথঘাট শুকিয়ে ভেজা মাটির আদ্র স্যাঁতলা গন্ধে একরকম মাদকতা থাকে । শরৎ শেষে সাদা কাঁশের বন ক্লান্ত দেহে নুইয়ে পড়ে যেন আধো লাজে , আধো শীতের বুড়ির আগমনী ভয়ে ।
পথের পাশে বয়ে চলা নদীর জল নীচে নেমে আসে । বর্ষায় ডুবে যাওয়া সাপের মত এঁকে বেঁকে চলা খাল বিল ঝিল নদীর কূল গুলো জলের ভেতর থেকে সবে মাথা উঠিয়ে জানান দেয় হেমন্তের আগমনী বার্তা । গ্রাম্য পথিকের পথ চিহ্ন এঁকে দেয় সুস্পষ্ট ভাবে কাঁদাজলে শুকিয়ে যাওয়া মেঠো পথরেখা ।
ভোরে সোনালী হলদে সূর্য কিরণের রক্তিম আভা ছড়িয়ে দেয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মনকাড়া কারুকাজ ।
হেমন্তেও ফোটে নানা ফুল । সাদা কাশফুল ঝরে না যেতেই বাড়ির আঙ্গিনায় ফোটে উঠে আরেক সাদা পরী গন্ধের রাণী গন্ধরাজ । যে গন্ধে আকুল করে মাদকতা ছড়িয়ে দেয় মনে প্রাণে ।
সবচেয়ে বড্ড বেশি ব্যাকুল করে সকালে ঝরে পড়ে শুয়ে থাকা শিউলি নরম ফুলের বিছানা । ফুল তুলে আঁচল ভরে কিম্বা ঝুড়ি ভরে শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথা হৃদয়ের অন্যরকম এক ভাল লাগা শিল্প ।
বাঙ্গালী ললনাদের শিউলির সাথে ভাব ভালবাসা অপূর্ব কাব্যিকতা এসেছে অসংখ্য কবিতা গল্প উপন্যাসের পাতায় । যা হেমন্তকে করেছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।
হেমন্তের আগমনে কিছুটা মৃদু মন্দাভাবে মাটির স্যাঁতসেঁতে গন্ধে হালকা ঝিমুনী পেলেও বাঙ্গালি জেগে উঠে নবান্নের উৎসব আনন্দ আয়োজনে ।
বর্ষায় চিহ্নহীন আমিন ধানের ক্ষেত নিরুদ্দেশ হয়ে পানির নীচে ডুবে গিয়ে বর্ষার পানি কমতেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তাদের অস্তিত্ব আর অবস্থান জানান দেয় ।
ধান গাছ গুলো বাতাসে খেলা করে হেলেদুলে নাচন জাগায় গাছে গাছে ।
ধানের গায়ে ধান বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ঢলে পড়ে একে অপরকে ছুঁয়ে দিয়ে মৃদু ছন্দ তালের শিহরণ জাগায় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে ।
শীতের শিশির বিন্দু হেমন্তেই জন্ম নিয়ে জড়িয়ে থাকে সবুজ সতেজ ধানের ডগায় চিকচিক করে জ্বলে উঠে ।
কৃষান বধু ঘোমটা টেনে আড়ালে ক্ষেতের আলে দাঁড়িয়ে স্বপ্নের চাষ করে নতুন উদ্যমে নবান্নের আয়োজনে নতুন ফসলের সাথে ।
কৃষকের মুখে বলি রেখার ভাঁজে ফুটে উঠে এক অনাবিল স্বপ্ন পূরণের তুষ্ট রেখা ।
গাঁয়ের ঘরে ঘরে রাত জেগে চলে বৌঝিদের আমন ধানের চিড়া কোটার গান । পানের রসে রাঙ্গিয়ে ঠোঁট সমস্বরে গায় বেসুরে কতো পল্লীবালা আঞ্চলিক সুখগান ।
বাংলার ঐতিহ্য ছয়ঋতু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের অকৃপণ দান ।
পথের পাশে বয়ে চলা নদীর জল নীচে নেমে আসে । বর্ষায় ডুবে যাওয়া সাপের মত এঁকে বেঁকে চলা খাল বিল ঝিল নদীর কূল গুলো জলের ভেতর থেকে সবে মাথা উঠিয়ে জানান দেয় হেমন্তের আগমনী বার্তা । গ্রাম্য পথিকের পথ চিহ্ন এঁকে দেয় সুস্পষ্ট ভাবে কাঁদাজলে শুকিয়ে যাওয়া মেঠো পথরেখা ।
ভোরে সোনালী হলদে সূর্য কিরণের রক্তিম আভা ছড়িয়ে দেয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের মনকাড়া কারুকাজ ।
হেমন্তেও ফোটে নানা ফুল । সাদা কাশফুল ঝরে না যেতেই বাড়ির আঙ্গিনায় ফোটে উঠে আরেক সাদা পরী গন্ধের রাণী গন্ধরাজ । যে গন্ধে আকুল করে মাদকতা ছড়িয়ে দেয় মনে প্রাণে ।
সবচেয়ে বড্ড বেশি ব্যাকুল করে সকালে ঝরে পড়ে শুয়ে থাকা শিউলি নরম ফুলের বিছানা । ফুল তুলে আঁচল ভরে কিম্বা ঝুড়ি ভরে শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথা হৃদয়ের অন্যরকম এক ভাল লাগা শিল্প ।
বাঙ্গালী ললনাদের শিউলির সাথে ভাব ভালবাসা অপূর্ব কাব্যিকতা এসেছে অসংখ্য কবিতা গল্প উপন্যাসের পাতায় । যা হেমন্তকে করেছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।
হেমন্তের আগমনে কিছুটা মৃদু মন্দাভাবে মাটির স্যাঁতসেঁতে গন্ধে হালকা ঝিমুনী পেলেও বাঙ্গালি জেগে উঠে নবান্নের উৎসব আনন্দ আয়োজনে ।
বর্ষায় চিহ্নহীন আমিন ধানের ক্ষেত নিরুদ্দেশ হয়ে পানির নীচে ডুবে গিয়ে বর্ষার পানি কমতেই মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে তাদের অস্তিত্ব আর অবস্থান জানান দেয় ।
ধান গাছ গুলো বাতাসে খেলা করে হেলেদুলে নাচন জাগায় গাছে গাছে ।
ধানের গায়ে ধান বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ঢলে পড়ে একে অপরকে ছুঁয়ে দিয়ে মৃদু ছন্দ তালের শিহরণ জাগায় দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠে ।
শীতের শিশির বিন্দু হেমন্তেই জন্ম নিয়ে জড়িয়ে থাকে সবুজ সতেজ ধানের ডগায় চিকচিক করে জ্বলে উঠে ।
কৃষান বধু ঘোমটা টেনে আড়ালে ক্ষেতের আলে দাঁড়িয়ে স্বপ্নের চাষ করে নতুন উদ্যমে নবান্নের আয়োজনে নতুন ফসলের সাথে ।
কৃষকের মুখে বলি রেখার ভাঁজে ফুটে উঠে এক অনাবিল স্বপ্ন পূরণের তুষ্ট রেখা ।
গাঁয়ের ঘরে ঘরে রাত জেগে চলে বৌঝিদের আমন ধানের চিড়া কোটার গান । পানের রসে রাঙ্গিয়ে ঠোঁট সমস্বরে গায় বেসুরে কতো পল্লীবালা আঞ্চলিক সুখগান ।
বাংলার ঐতিহ্য ছয়ঋতু প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের অকৃপণ দান ।
হেমন্তের রূপ
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
Rating: