খালিদ আহম্মেদ রাজা (কুড়িগ্রাম):
একটি মেয়ে তার স্কুলজীবন পেরোনোর আগেই বউ হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের সুস্থভাবে বেড়ে উঠা এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্য বিবাহ একটি বড় বাধা। বাল্য বিবাহের শিকার ছেলে ও মেয়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনের মত মৌলিক মানবাধিকার লংঘিত হয়। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ এবং নারীর জন্য ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তাকে বাল্য বিবাহ বলে গন্য হয়। দারিদ্র্য, কম বয়সে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রচলিত সামাজিক প্রথা, যৌতুক প্রথা, মেয়েশিশুর সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অজ্ঞতা, পারিবারিক ওয়াদা পূরণ, সচেতনতার অভাব, কুসংস্কার, সামাজিক অস্থিরতা, মেয়েশিশুদের বোঝা মনে করা, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া ইত্যাদি। উল্লেখিত কারণসমূহের মধ্যে মেয়েশিশুর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আজকের প্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই বাল্য বিবাহ রোধ করতে বিল্ডিং বেটার ফিউচার ফর গার্লস (বিবিএফজি) প্রজেক্ট, আরডিআরএস বাংলাদেশ সদর কুড়িগ্রাম বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করে ঘোগাদহ উচ্চ বিদ্যালয় বনাম মরাটারী মহিসুন্নাহ দাখিল মাদরাসা।
বিষয়, পরিবারের সচেতনতার মাধ্যমেই বাল্য বিবাহ মুক্ত কুড়িগ্রাম গঠন সম্ভব।
এইদিকে ঘোগাদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপক্ত দলের মোছাঃ রুপা আক্তার বলে, বাল্য বিবাহের জন্য প্রধান দায়ী আমাদের আইন। নিজেকে সচেতন করতে হবে অন্যকে বাল্য বিবাহ রোধে সহযোগীতা করতে হবে।
মরাটারী মহিসুন্নাহ দাখিল মাদরাসার পক্ষ দলের প্রধান বক্তা বলে: আগে আমাদের সমাজকে সচেতন হতে হবে তা হলেই বাল্য বিবাহ বোধ করা সম্ভব। প্রধান করণ বলে মনে করেণ দারিদ্র্যতা, নিরব রাতের অন্ধকার বাল্য বিবাহ দেওয়া এই সব কিছু রোধ করতে হবে।
পরে ঘোগাদহ উচ্চ বিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগীতায় বিজয়ী লাভ করে।
ঘোগাদহে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে মেয়ে শিশুদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯
Reviewed by সম্পাদক
on
বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
Rating: