বইয়ের নাম: ঝিন্দের বন্দী।
লেখক:শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপন্যাসের ঘটনাচক্র মধ্য ভারতের ছোট্ট একটি রাজ্যকে কেন্দ্র করে।
মধ্যভারতের ছোট্ট রাজ্য ঝিন্দ। রাজ্যের রাজা ভাস্কর সিংহের মৃত্যু হলে পরবর্তীতে দুই ছেলে শঙ্কর ও উদিত মধ্যে সিংহাসন নিয়ে বিরোধ শুরু হয়! অভিষেকের কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় শঙ্কর সিং ।ঝিন্দের পুরনো রাজকর্মীরা পড়ে গেলো বিপাকে। এদিকে আবার কলকাতার এক বাঙালি ছেলে, নাম গৌরীশঙ্কর রায়। দেখতে হুবহু শঙ্কর সিংহের মতো দেখতে। ঘটনা ক্রমে ঝিন্দের পুরনো কিছু রাজকর্মী তাকে দেখতে পায়। এতে করে তাকেই শংকর সিং বলে সিংহাসনে বসাতে চাইলেন তারা। এবং অভিষিক্তও করলেন! হঠাত করে রাজ্যপাট পেয়ে একটা গোলমেলে অবস্থায় পড়ে যায় শংকর সিং।
অন্যদিকে তাকে রাজা হিসেবে মেনে নিতে নারাজ উদিত সিং। ঘটনাচক্রে দেখা যায় শঙ্কর সিং নিখোঁজ নন, বন্দী করে রাখা হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কেনো? কোথায়? শঙ্কর সিং কি মুক্তি পাবেন ? অন্যদিকে গৌরীশঙ্কর কে? সে কি লুকিয়ে রাখতে পারবেন তার আসল পরিচয়?
এমনি কিছু প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ চলতে থাকে। এতে একই সাথে রয়েছে বন্ধুত্বের নজির,প্রেম, রহস্য, এডভেঞ্চার ও ট্রাজেডি।
বইটি এক কথায় অনবদ্য। পড়তে পড়তে কখন যে পাঠক এর মধ্যে ঢুকে যাবে তা বুঝতেই পারবে না । এই উপন্যাসটি শীর্ষেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা সর্বাধিক জনপ্রিয় বইয়ের মধ্যে অন্যতম।
এই উপন্যাসের কাহিনী নিয়েই পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে মুক্তি পায় উত্তম কুমার অভিনিত ঝিন্দের বন্দী চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটিও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিলো।
লেখা:- মো: আহসান হাবিব মারুফ।
বুক রিভিউ: ঝিন্দের বন্দী - শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, আগস্ট ২১, ২০১৯
Rating: