শাহাদাত হোসেন রাহাত,(ঢাকা):
শুরু করবো কিছু নাম দিয়ে। চেষ্টা করুন চেনা মনে হচ্ছে কিনা কিংবা কোনো দিন শুনেছেন কিনা নাম গুলো?
ড্রিমল্যান্ড, প্যারাডাইস রেন্স, হোম বেস এবং ওয়াটার টাউন নামগুলো শুনে অন্তত এটা অনুমান করা যেতেই পারে যে নামগুলো কোনো স্থানের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এরিয়া ৫১ জায়গার নামটি অনেকেই শুনে থাকবেন। একটু আগে যে চারটি নাম পড়লেন এই নামগুলো হলো এরিয়া ৫১ এর অন্য নাম। এরিয়া ৫১ একটি বিশাল সামরিক বাহিনীর অপারেশন ঘাঁটি। এর আয়তন ২৬,০০০ বর্গ কিঃ মিঃ। এটি একটি মিলিটারি ঘাঁটি এবং পৃথিবীর সব থেকে নিরাপদ জায়গার মধ্যে একটি। এটি মূলত একটি বিমান বাহিনী ঘাঁটি। এর প্রাথমিক উদ্দ্যেশ্য হলো পরীক্ষামূলক এয়ার ক্রাফট এবং ওয়েপণ উন্নয়ন ও পরীক্ষা সহায়ক। এটির অস্তিত্ব সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই অস্বীকার করেন। যার মাধ্যমে এটি বিশ্বের সব থেকে রহস্যময় এরিয়া হিসেবে পরিণত হয়েছে। অনেকেরই ধারণা এখানে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করা হয়। এলিয়েন, বিভিন্ন এয়ার ক্রাফট এবং সিক্রেট ওয়েপন রিসার্চ হিসেবে এটি হয়েছে নাম্বার ওয়ান গুপ্ত জায়গা, গুগল এবং ইউটিউব এ এটি নিয়ে অনেক কন্সপায়ারেসি থিওরি দেখা সাক্ষাৎ পাওয়া যাবে।
১৯৮৯ সালে বব লাজার নামে এক ব্যক্তি দাবি করেন, তিনি কিছুদিনের জন্য এরিয়া ৫১ এর একটি অংশে কাজ করেছিলেন যার নাম "এস ৪"। এ জায়গা এতটাই গোপন যে, সেই জায়গায় তাকে এবং তার সহকর্মীদের যে বাসে নেওয়া হয়েছে তার জানালা গুলো বন্ধ ছিল, যেনো তারা যাতায়েত এর রাস্থা মনে রাখতে না পারে। "এস ৪" এর বিমান ছাউনীতে লাজার এমন কিছু এয়ার ক্রাফট দেখতে পেয়েছিল যেগুলো কোনটি পৃথিবীতে তৈরি হতে পারে না বলে তিনি দাবি করেন। সেগুলোর শক্তি সরবরাহ হচ্ছিল এন্টিম্যাটার রিয়েক্টর এর মাধ্যমে এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল লালচে কমলা রঙের একটি পদার্থ যার নাম এলিমেন্ট ১১৫। এটি এতটাই শক্তিশালী গ্রেভেটি ওয়েব তৈরি করেছিল যে সেটার উদ্দ্যেশে কোনো গলফ বল ছুড়ে মারলে সেটাও ফিরে আসবে। লাজার এর মতে সামরিক খাতে ব্যাবহারের উদ্দ্যেশে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার রিভার্স ইঞ্জনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করেছিল ইউএফও অর্থাৎ Unidentified Flying objective (UFO)। ইউএফও এর কথা যখন এসেছে তখন অবধারিত ভাবে আরেকটি সত্ত্বার কথা আসে, তা হলো "এলিয়েন" অর্থাৎ ভিন গ্রহের প্রাণী। আর এই ভিন গ্রহের প্রাণীদের জেল খানার আসামিদের মত জিজ্ঞেস করা হয় এরিয়া ৫১ এ। ১৯৯৭ সালে এমন দাবি করেছিলেন 'ভিক্টর' নামে আরেকজন ব্যক্তি, তিনি এরিয়া ৫১ চাকরি করেন বলে দাবি করেছিলেন। তিনিও এলিয়েনদের জিজ্ঞেসবাদ এর ব্যাপারটি দেখেছিলেন বলে জানান। এমনকি তিনি একটি ঝাপসা ভিডিও করেছিলেন। যেখানে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর হাতে গুলি খাওয়া এক বহিজগতিক পাইলট এর সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে যোগাযোগ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন, এরিয়া ৫১ এর একজন অফিসার।
এরপর ২০১২ সালে Alien From Area 51 The Alien Autopsy Footage Revealed শিরোনাম এ একটি ডিভিডি বেরিয়েছিল যেখানে আবার সতর্কতা হিসেবে লেখা আছে Graphic Material। এরিয়া ৫১ এ রয়েছে অত্যাধুনিক এয়ার ক্রাফট যা সেখানের পাহাড়ের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে ঠিক কি নিয়ে কাজ চলছে তা নিয়ে বাহিরের জগতে বসে অনুমান করা কঠিন আর অনুমান করলেও সঠিক কিনা তা যাচাই এর কোনো উপায় নেই।
রহস্যে ঘেরা এরিয়া ৫১ (Area 51) ।
Reviewed by সম্পাদক
on
সোমবার, আগস্ট ০৫, ২০১৯
Rating: