-->

ইভটিজিং নিয়ে কিছু কথা।


মো: আবদুল্লাহ,(বগুড়া):

আজকের এই বর্তমান যুগে আমরা শারীররিকভাবে সুস্থ আছি প্রায় সকলেই,তবে কিছু মানুষ রুপী পশুদের ফলে মানসিক ভাবে সুস্থ নেই আমরা।
চারদিক ভরে গেছে পশুদের হুঙ্কার এ আর নির্যাতিত অসহায়দের অার্তনাদ এ ধ্বংস হচ্ছে সমাজ বিলীন হয়ে যাচ্ছে তাজা প্রান৷
 অশ্লীল আচরন বা অঙ্গভঙ্গির, মানুষরূপী
কিছু জন্তুদের বিষাক্ত-হীন মনােভাবের প্রকাশের মাধ্যমে আজ ইভটিজিং আমাদের সামনে হাজির হয়েছে এক ভয়ানক রূপে।
ইভটিজিং বলতে আমরা সাধারণত ছেলেদের হীন
মনােভাব কে ইঙ্গিত করে থাকি।তবে ইভটিজিং সংগঠিত হওয়ার দায় শুধু ছেলেদের একার নয়,এর
দায়ভার সমাজ,প্রতিবেশী, অভিভাবক কেউ এড়িয়ে যেতে পারেনা এমন অসংখ্য অভিভাবক আছে যারা নিজেদের ব্যাস্ততার মাঝে হারিয়ে ফেলেছেন তাদের সন্তানদের। তারা জানেন ও না যে তাদের সন্তানরা বাহিরে কখন কোথায় যাচ্ছে বা কি করছে ।অসংখ্য প্রতিবেশী আছে যারা চোখের সামনে অন্যায় দেখেও অন্ধর মতাে পাশ কাটিয়ে চলে যায় ।তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করারকে মনে করে অবান্তর
ঝামেলা ।তারা মনে করেন অন্যের সন্তানরা পথভ্রষ্ট হচ্ছে।
হােক না,তাতে আমার কি?
তবে তারা এটা বুঝতে পারে না। তাদের ও সন্তান রয়েছে তারাও ঠিক একই ভাবে অন্ধকার পথে তলিয়ে যেতে পারে,ডুবে যেতে পারে অনৈতিকতারর মাঝে!
তবে যখন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সংগঠিত হয় তখন সকলে চুপিসারে নিজের দায় এড়িয়ে গিয়ে গালি দেয় দেশকে শাসনব্যাবস্থা কে৷
তারা ভুলে যায় তারাও অপরাধী।
আমরা নিজেরা পুথীগত জ্ঞান আরােহন করে নিজেকে শিক্ষিত জাতি হিসাবে দাবি করি। তবে আমরা ভুলে যায় মনুষ্যত্ব এর শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। যা অর্জন না
করলে জীবন কখােনোই আলােকিত হয়না, বরং ডুবে যায়
অন্ধকার রাজ্যে ।
ইভটিজিং বন্ধে সর্বপ্রথম আমাদের মানসিকতা কে শুদ্ধ করতে হবে। মনুষ্যত্ব বুকে ধারন করতে হবে পাশা-পাশি সকলকে সম্মেলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে৷তবেই দেশ ও সমাজ হবে কলুষতা মুক্ত সকলের মনে ফিরে আসবে প্রশান্তি। চারদিক ভরে যাবে রঙিন বিকশিত আলােয়৷

ইভটিজিং নিয়ে কিছু কথা। ইভটিজিং নিয়ে কিছু কথা। Reviewed by সম্পাদক on রবিবার, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.