-->

শিরোনামহীন।



সরকার নাফিজ ইকবাল নিলয়,(ঠাকুরগাঁও):

অসহায় থেকে অসহায়ত্ব। সামগ্রিক দৃর্ষ্টিতে এটা যতটা সহজ ততটা স্বাভাবিক। তবে এই স্বাভাবিকতার অন্তরালে রয়েছে ব্যাপকতা। অসহায় শব্দটির সাথে      ত্-ব ফলা পদের পরিবর্তন খুবই সহজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে অসহায় হতে যে নতুন অর্থের উদ্ভব হলো তার ব্যাপকতা বড্ড বেশি।তা শুধু এতে আক্রান্ত ব্যক্তি-সকলই উপলব্ধি করার সক্ষমতা রাখে।কিন্তু এই ভঙ্গি উপলব্ধি করার সক্ষমতা থাকা উচিত সবার।।
হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন,”সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, তোমাকে শুধু এমন একজন কে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।“
কৃতী লেখক হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন অন্য কোনো আখ্যান। তবে এ বিষয় সুস্পষ্ট যে তিনি প্রকৃত ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ সেই সকল নিঃস্বার্থ ব্যক্তিদের কথা বলেছেন। যারা ভালোবাসার সাথে ছলনায় বিশ্বাসী নয়।যারা অন্যকে অসহায়ত্বের দিকে ঢেলে দেয় না।তবে অগোচরে প্রকাশ পেয়েছে সেই অসহায়ত্ব। কিন্তু কেন এই অসহায়ত্ব? কেন এত অবিশ্বাসের, ধোঁকাবাজির বহিঃপ্রকাশ?
উত্তর এ মন বলতে পারে সবই জগতের খেলা।আসলেই তাই! হয়তো উত্তর হতো দোষ আমাদের মানসিকতার, আমাদের কুরুচির। যার বদৌলতে আমরা তুচ্ছের বিনিময়ে হারাচ্ছি অনেক সম্পর্ক, অনেক বিশ্বাস,অনেক সাধনার।তবে আমি এখানে সেই সব প্রেমিক-প্রেমিকার কথা বলছি না যারা এর জন্য দায়ী বলছি সেই সব ভালোবাসার মানুষের কথা যারা আজ অসহায়ত্বের নামক মন্দ্রে আচ্ছাদিত। এরা তারা নয় যারা আজকাল পার্ক,রাস্তা ঘাটের নিত্য সঙ্গী।
আমার লেখার চরিত্র হলো আমার বা আমাদের বাবা-মা।আমরা না করলেও যে মানুষ দুটি সদা সর্বদা আমাদের চিন্তায় মগ্ন তারা এরা।কিন্তু আজকের কথিত ভদ্রলোক সমাজে এই প্রিয়রাই অসহায়ত্বের স্বীকার।এরাই মনঃকষ্টে সদা আবৃত। আর এর কারণ আমাদের মতো সন্তান। তাদের শেষ দিগন্তে তারা নিজ স্বপ্নচ্যূত,অসহায়ের পথে।দায়ী শুধু সন্তানেরা।
আমাদের আজকের এই বেঁচে থাকার পেছনে তারাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। বুনেছিলেন আশার জাল।তবে শুধু আমাদের উচ্চাভিলাষী ভাবনার ফলে তাদের স্বপ্ন আজ  ধূলিসাৎ হচ্ছে। আমরা পরিচিত হয়েছি নতুন শব্দের সাথে ‘বৃদ্ধাশ্রম’।আমাদের ব্যবহার, মানসিকতা, বিবেক বোধই দায়ী এর জন্য। আমরা জগতের তুচ্ছ সুখের আশায় ত্যাগ করি তাদেরকে,আমাদের বাবা-মা কে।

যদি আমাদের বিবেক পরিবর্তন হতো,
হয়তো “নচিকেতা”র সেই ‘বৃদ্ধাশ্রম’ পেত না সেই সুর।
‘মুখোমুখি আমি খোকা আর,  বৃদ্ধাশ্রম।।‘



শিরোনামহীন। শিরোনামহীন। Reviewed by সম্পাদক on মঙ্গলবার, জুলাই ২৩, ২০১৯ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.