শাহদাৎ হোসেন রাহাত,(ঢাকা):
মনের শান্তি পাওয়ার একটা বড় উপায় হলো কাউকে মাফ করে দেওয়া। "নেলসন মেন্ডেলা" সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি।তার ২৭ বছর কারাদন্ডের পর, তাকে যারা জোড় করে কারাগারে রেখেছিল, তাদেরকে তিনি মাফ করে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, "আপনি ওনাদেরকে কেনো মাফ করলেন?" নেলসন মেন্ডেলা বললেন, "আমি যদি ওদেরকে মাফ না করতে পারি তাহলে আমি তো আসলে প্রকৃতপক্ষে কারাগারের বাহিরে বের হতে পারলাম না। আমি কিন্তু তখনি কারাভোগী করবো যদি আমার তাদের উপর রাগ থাকে।" সুতরাং তুমি যদি শুধু মনের শান্তি চাও তাহলে কেউ যদি তোমাকে খারাপ কিছু বলে তাহলে তাকে মাফ করে দেও। দেখবে ওইদিন তোমার মনের শান্তি ও অনেক বেড়ে যাবে।
আমাদের খুশি থাকা অনেকাংশ নির্ভর করে আমাদের আসে পাশের মানুষের খুশি থাকার উপর। 'জিম রোহান' বলেছেন, "You are the average of the five people you spend the most time with." তারমানে তোমার যে সব থেকে কাছের বন্ধু আছে তুমিও কিন্তু তাদের মতই হবা। তোমার সেই কাছের বন্ধুগুলো যদি খুশি থাকে তাহলে তুমিও খুশি থাকো। তোমার সেই কাছের বন্ধুগুলো যদি চিন্তায় থাকে তাহলে তুমিও চিন্তায় পড়ে যাও। তাই চেষ্টা করো তোমার আশেপাশের মানুষ যেনো অনেক হ্যাপি থাকে, নতুন কিছু তৈরি করার চেষ্টায় থাকে, উদার মনের হয়, তাহলে দেখবা তুমিও তাদের মতই হয়ে যাবা এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা তোমার মধ্যেও আসবে। তাহলেই দুঃখ দুর্দশা ভুলে গিয়ে লাইফে হ্যাপি হয়ে যাবা।
প্রতিদিন সকালে উঠে আমার প্রথম যে কাজটি থাকে আমার To Do List এ আজকের সব কাজগুলো লিখে রাখি, এবং আমি কোনো একটা কাজ করার পরে তখন সেই লিস্ট থেকে সেই কাজটি কেটে দেই, সেই মুহূর্তটা অতুলনীয়। এর মাধ্যমে আমাদের প্রতিদিন আমাদের রুটিন মেনে চলতে পারবো। এবং সেই সাথে আমাদের কাজগুলো আরো সহজ এবং দ্রুত হয়ে যাবে। তাই এখন থেকে তোমরাও এই পদ্ধতি ব্যাবহার করতে পারো।
যখনি আমাদের একাডেমির ১ বছর পূর্ণ হয় আমাদের বই গুলো রেখে দেই, দেখা যায় পরবর্তীতে এই বইগুলো আর পড়া হয় না তাই সেই বইগুলো না রেখে অন্য কাউকে দিয়ে দেও। তোমার যেসব জামাকাপড় গুলো ছোটো হয়ে গেছে সেগুলো গরিবদের দান করে দেও। এই দেওয়ার মাঝে যে কতটা আনন্দ পাওয়া যায় এটা বলে বোঝাবার মত নয়। দেখবে গিফট নেওয়ার থেকে অনেক সময় গিফট দিতে বেশি আনন্দ লাগে। তাই সবাইকে গিফট দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলো।
যখনি কোনো একটা আইডিয়া আসবে সাথে সাথে নোটবুকে লিখে রাখো। কারণ দেখা যায় আমরা সারাদিনে অনেক আইডিয়া মাথায় চলে আসে কিন্তু একটু পরেই সেটা ভুলে যাই। তাই এই আইডিয়াটা যদি আমরা সাথে সাথে লিখে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি, তাহলে আমাদের সেটা মনে থাকবে এবং যখনি আমরা সেই নোটবুকটি খুলবো সেই আইডিয়াটি আমাদের চোখে পড়বে। এবং সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করতে পারবো।
আমরা অনেক সময় অনেক সফল ব্যক্তিদের সাথে নিজের লাইফকে তুলনা করি। যেমন মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস এরা অনেক বড় সফল ব্যক্তি কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি নি এবং অনেক কষ্ট পাই। কিন্তু আমরা এটা ভাবি না তারা এই পর্যন্ত আসার জন্য আমাদের বয়সে থাকাকালীন কতটা কষ্ট এবং বাধা অতিক্রম করেছেন। তাই আমরা যদি তাদের অনুসরণ করি অর্থাৎ তারা কিভাবে আমাদের বয়সে তাদের বাধা অতিক্রম করেছেন সেই সম্পর্কে জানে সেই অনুযায়ী কাজ করি তাহলে আমরাও একদিন সফল ব্যক্তি হতে পারবো এবং আমাদের হ্যাপিনেস বহুগুণে বেড়ে যাবে।
ফিচার: তোমার প্রতিটি দিনকে করে তোলো আরো আকর্ষণীয়।
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, জুলাই ১০, ২০১৯
Rating:
