নাবিলা আক্তার বুশরা (ঢাকা):
জীবনের সূচনাতে মা যতোটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে বাবা ও ঠিক ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে। একজন বাবা কখনও কোনো অংশে মা হতে কম নয়..একজন বাচ্চার জন্য তার বাবা-মা দুজনই সমান..তবে হ্যা মা সাথে টান বেশি কাজ করে আর বাবার জন্য করে নাহ তা নয়।
মায়ের সাথে টানটা অনুভব করে পৃথিবীতে মা দিবসটাই আগে পালন করা শুরু হয়েছে। তবে বাবারা কেনো অবহেলিত হবে তাদের জন্য ও রয়েছে বাবা দিবস। সম্প্রতি আমাদের দেশে বাবা দিবস পালন করা হয়েছে।
পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ারফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার, সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনেরএক ভদ্রমহিলার মাথাতেও পিতৃ দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে, ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার। ডড আবার তার বাবাকে খুব ভালবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।
পিতৃ দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, পিতৃ দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে পিতৃ দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্টক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসনপিতৃ দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পিতৃ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
বাবা নামটার সাথে জরিত আছে বুক ভরা ভালোবাসা, নিরাপত্তা, যত্ন, আদর, হারতে না শিখা, সব প্রতিকূলতা কাটানো, অসীম সাহস, নিজেকে শেষ করে নিজের সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখা, একটা মজবুত শক্ত খুঁটির মতো পরিবারকে আগলে রাখা....।বাবাদের কথা বলে শেষ করা যাবে নাহ যেমনটা মায়ের বেপারে হয়।
প্রতি দিন আমাদের সকালে ভোর হয় বাবারা তাদের সন্তান ও পরিবারের জন্য নেমে পড়ে যুদ্ধে.. তারা সকালে চাইলেই আয়েশ করে যেতে পারে তাদের চাকরিতে তারা যায় লোকাল বাসে ঝুলে ঝুলে কিংবা এই রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেঁটে যায় এমন করে কিছু টাকা বাচিয়ে রাখে তারা এই টাকা গুলো যেনো তার সন্তানের ব্যবহার জন্য খরচ করতে পারে। বাবারা নিজের জন্য কিছু করতে চায় নাহ.. ঈদে আগে সন্তানদের পোশাক কিনে তবেই তার টা কিনে আবার কিনেও নাহ। বাবা নামক এই ছায়াটা যতো দিন মাথার উপর থাকে ততো দিন কোনো ঝড় সন্তানকে ছুঁতে ও পারবে না এই বাবা সব ঝড় নিজের উপর দিয়ে যেতে দিবে। তারা অনেক ভাগ্যবান যারা এই ছায়াতে আছে।
বাবার জন্য আলাদা দিনেই কেবল ভালোবাসা দেখাতে নেই ঐ দিনকে ঘিরে ফেসবুকে টাইমলাইন ভরিয়ে লাভ নেই যদি না তাকে প্রতিদিন ভালোবেসে যত্ন না নেয়া হয়। বাবাকে ভালোবেসে তাকে প্রতিদিনই বাবা দিবস উপহার দিন। সব বাবাদের প্রতি সন্মান ও ভালোবাসা জানাই।
বাবা।
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, জুন ১৯, ২০১৯
Rating: