-->

মাদককে না বরং মাদকাসক্তির কারণ গুলোকে আগে বন্ধ করুন ।



মো:আব্দুল্লাহ , (বগুড়া) :
মাদক আজ সমাজে এক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সবাই এখন বেপরোয়া হয়ে মাদক সেবন বন্ধে কাজ করছে। কিন্তু আমাদের মাদক বন্ধ করতে হলে আগে জানতে হবে শিশু-কিশোররা কেন মাদক সেবন করে। এর কারণ কি?
সবাই আজ মাদক থেকে মুক্তি চায় শিশু-কিশোরদের মাদক মুক্ত রাখতে চায়। তাই তারা শিশু-কিশোরদের উপর চালাচ্ছে বেপরোয়া হাতিয়ার। বাড়িয়ে দিচ্ছে তাদের আক্রস,জেদ।

(তাহলে আমাদের কি করা উচিৎ?):
আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে এর পিছনের কারণ। এর প্রতিকার। শুধু মারধর কখনো কোন কিছুর সমাধান হতে পারেনা। বরং সৃষ্টিকরে নানা প্রতিকূলতা।
(শিশু-কিশোরদের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ কি?:) আপাতো দৃষ্টিতে যদি আমরা মাদকের কারণ বলতে চাই তবে বলা যেতে পারে মাদক সেবনের ১ম কারণ হতাশা। হতাশার কারনে আজ লক্ষ্য-লক্ষ্য শিশু হচ্ছে পথভ্রষ্ট। তারা ভাবছে মাদক দিতে পারে তাদের হতাশা থেকে মুক্তি।২য় কৌতুহল। যা তাদের মাদকের প্রতি করছে আকৃষ্ট। ৩য় কোন কিছু পাওয়ার প্রবল আকাঙ্খা। শিশু-কিশোররা সাধারণত হয় আবেগ প্রবন তারা যখন কোন কিছু অর্জন বা পেতে চায় তবে তাদের জেদ হয়ে উঠে প্রবল। যখন যে তার পছন্দের কোন বিষয়-বস্তু পায়না বা তার থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয় তখন সে আবেগের বসে এবং বন্ধুদের ভুল পরামর্শ বা কু-প্ররচনায় হয়ে উঠে মাদক আসক্ত। হয়ে উঠে সন্ত্রাস হয়ে উঠে অসৎ রাজ্যের রাজা। এবং সর্বশেষ কারণ হিসাবে মনে করি বাবা-মার অবহেলা তাদের সময় সল্পতা।

(তবে আমাদের কি করা উচিত?): আমাদের আগে খুঁজতে হবে তাদের। সমস্যাটা কোথায়। উপরের কোন কারণে তারা আজ পথভ্রষ্ট। তারা যদি হতাশাআচ্ছন্ন হয় তবে তাদের হতাশার কারণ অনুসন্ধন করতে হবে। তাদের হতাশার কারণটাকে সমাধান করতে হবে সঠিক পথপ্রদর্শন করতে হবে,স্নেহের সাথে। যদি তাদের পথভ্রষ্টের কারন হয় কৌতুহল তবে এটা অনেকটা স্বাভাবিক এই সময় সাধারণত শিশু কিশোররা হয়ে থাকে কৌতুহলী। তাদের বোঝাতে হবে জীবন সম্পর্কে। দেখাতে হবে আলোর পথ। যদি তাদের হতাশার কারণ হয় কোন কিছু পাওয়ার প্রবল আকাঙ্খা বা কোন কিছু হারনোর ক্ষোভ। তবে যদি তা ভালো হয় তবে অবশ্যই তা তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে যদি হয় নীতিবাচক তবে তা থেকে তাদের ভালোবাসার মাধ্যমে স্নেহের মাধ্যেমে সরিয়ে আনতে হবে। বন্ধুর মতো তাদের বুঝতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। মারধর কে সমাধান ভেবে ভুল পথে যদি অভিভাবক রা যদি পা দেন তবে পরিনাম হতে পারে ভয়াবহ। এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যদি কারণ হয় কু-সঙ্গ তবে তাদের না হুমকি দেখায়ে নয় আক্রস সৃষ্টি করে নয় বরং দেখাতে হবে সৎ ও ভালো সঙ্গের সু-পথ।যাতে তারা ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝতে পারে যা তাদের জীবনকে করবে আলোকিত। যদি কারণ হয় বাবা-মার সময় সল্পতা বা তাদের অবহেলা তবে তা সত্যিই বেদনা দায়ক। আজ কাল বাবা-মা রা হয়ে উঠছেন কর্মব্যাস্ত। তারা তাদের সন্তানদের পাঠাচ্ছেন বোডিং স্কুলে বা তাদের সন্ন্তানদের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন অন্যদের হাতে ফলে শিশু-কিশোররা হয়ে উঠছে বেপরোয়া ও পথভ্রষ্ট। যখন তারা জানতে পারে তাদের সন্তানরা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তখন তারা তাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ না খুঁজে বেছে নেয় কঠোরতার পথ ও বাড়িয়ে দেয় তাদের আক্রস। তাই সকল অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলতে চায় আপনাদের সন্তানদের সময় দিন তাদের বাবা-মা না বরং বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করুণ। যাতে তারা তাদের সকল সমস্যার কথা আপনাদের নিঃসংকোচ এ জানাতে পারেন।
মাদককে না বরং মাদকাসক্তির কারণ গুলোকে আগে বন্ধ করুন । মাদককে না বরং মাদকাসক্তির কারণ গুলোকে আগে বন্ধ করুন । Reviewed by সম্পাদক on শুক্রবার, জুন ০৭, ২০১৯ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.