আতকিয়া মাদেহা নাহার,(সিলেট):
আমি না বেশ কিছু দিন ধরে একটা হিসেব কিছুতেই মিলাতে পারছি না,,বার বার অনিশ্চিত হিসাব আসছে,, তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
আচ্ছা তোমরা বলতো,হালকা অভিমানের-জেদের জেরে,খারাপ রেজাল্ট হওয়ার জন্য,সামান্য চাহিদার অপূর্ণতার কারণে মানুষ আত্মহত্যা কীভাবে করে?
জীবনটা তাদের একার,তারা যাচ্ছেতাই করতে পারে এই সূত্র ধরে?
এমনটা করার আগে তাদের চোখের সামনে কি একবার ও বাবা নামক প্রাণীটার ছবি আসে না?
কি ভাবছ ভূল বললাম!! না একদমই না,বাবারা প্রাণীই বটে।
মানুষ তো আমরা, স্বার্থপরেরা।যারা কেবল নিজেরটাই দেখি।আশেপাশের মানুষ গুলার কথা খুব কমই ভাবার সময় পাই আমরা।বাবারা শেষ কবে নিজের শখে নিজের জন্য কিছু করেছে একটু খোঁজ নিয়ে দেখ তো!
বাবারা মানুষ হয় সেদিন যেদিন নিজের শখ আহ্লাদের সাথে এ পৃথিবীর আলো বাতাস ও ছেড়ে চলে যায়।যেদিন সে তোমার কল্যাণে আল্লাহর দরবারে হাত তোলে কাঁদে না,তোমার চাওয়া পূর্ণ করতে নিজেকে সর্বশান্ত করতেও দ্বিধাবোধ করে না,তুমি আঘাত পেয়েছ বলে তোমার চেয়ে বেশি কষ্ট সে পায় না।তুমার কান্না দেখে যেদিন বাবা আর খুব শক্ত করে আগলে ধরে বলবে না বাচ্চাদের মত কাদিঁস না তো,মায়া ভরে শাসন করবে না,তোমার গগনবিদারী আহাজারি দেখে ও আর সাড়া দেবে না সেদিন বাবারা মানুষ হয়।
নিজের মত করে সবার চিন্তা ছেড়ে একটু হাফ ছেড়ে শান্তিতে ঘুমায়।বাবারা ওই একদিনই স্বার্থপর হয় এর আগে না।সে যতই রাগী হোক না কেন।
বাবারা কখনো খারাপ হয় না।
ভাগ্যিস আকাশের চাঁদটা কেউ ধরতে পারে না,নয়তো তোমাদের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে বাবারা সেই কবেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিঁয়ে দিত!!
ভালো থাকুক সব বাবারা এপারে তার রাজকন্যা-রাজপুত্তুর নিয়ে ।
ভালো থাকুক 'বাবা'।
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, মার্চ ২৭, ২০১৯
Rating: