মো: আহসান হাবিব মারুফ, রংপুর:
(www.hatekhari.news এ প্রকাশিত)
রংপুর সহ সারাদেশে চলছে ৪৭ তম গ্রীষ্মকালীন স্কুল, মাদ্রাসা,কারিগরী শিক্ষা সমিতির ক্রীড়া প্রতিযোগীতা। উপজেলা, জেলা পর্যায় ছাড়িয়ে উপ আঞ্চলিক, আঞ্চলিক খেলতে বিভাগীয় শহরগুলোতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খেলোয়াড়েরা এসেছে।
সকলের মাঝে আছে অকৃত্রিম প্রতিভা। এরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের খেলাধূলাকে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। হয়তো তারাই এশিয়ান গেম,সাফ গেম, কমনওয়েলথ সহ নানা প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য ভাল কিছু বয়ে নিয়ে আসবে। নি:সন্দেহে এই ক্রীড়া প্রতিযোগীতা খেলোয়াড় তৈরীর জন্য ভাল উদ্দ্যোগ। কিন্তু , দু:খের বিষয় এসব খেলা খেলতে যারা বিভাগীয় শহরগুলোতে আসে প্রতিবছর তাদের নানা প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হচ্ছে।
তারা পাচ্ছে না থাকা খাওয়ার ভাল সুযোগ সুবিধা। বিভাগীয় শহরগুলোর বিভিন্ন স্কুলের ক্লাস রুমে হয়েছে তাদের থাকার ব্যবস্থা। রংপুরে উপ আঞ্চলিক পর্যায়ে খেলতে আসা বিভিন্ন জেলার ক্ষুদে খেলোয়ারদের থাকার যায়গা হয়েছে রংপুর জিলা স্কুল ও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সম্প্রতি এই দুই স্কুলে গিয়ে দেখা যায় কি কষ্টে রাত কাটাচ্ছে এসব খেলোয়াড়েরা। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চগুলো একসঙ্গে করে তৈরী করা হয়েছে অস্থায়ী বিছানা। নেই তোষক কিংবা বালিশের ব্যবস্থা। কমিটি থেকে ম্যাট দেয়া হলেও সেগুলোর অবস্থা জীর্ণ এবং তা একেবারেই পর্যাপ্ত না।
তাছাড়া সব বেঞ্চের উচ্চতা একসমান না হওয়ায় বিছানা অসমান হয়েছে।এতে করে ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে না তাদের। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন যায়গায় শক্ত বেঞ্চ লেগে ব্যথার সৃষ্টি হচ্ছে খেলোয়াড়দের। ঘুম না হওয়ায় মনোবল নষ্ট হচ্ছে খেলোয়াড়দের। ফলে ঠিকমতো খেলতে পারছেন না তারা। তাছাড়া সেখানে নেই কোনো খাওয়ার ব্যবস্থা। খাওয়ার জন্য রাতের বেলায় ও তাদের আবাসনের বাইরে যেতে হচ্ছে। এতে অনিরাপত্তায় ভূগছে তারা।
এসব একপ্রকার শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের পর্যায়েই পড়ছে। তারা চায় থাকা খাওয়ার ভাল ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে তারা আরো ভাল ভাবে খেলতে পারবে। ভবিষ্যত বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এসব খেলোয়াড়।
তারাই যদি এরকম অবহেলায় থাকে তাহলে বাংলাদেশে কিভাবে তৈরী হবে ভাল মানের খেলোয়াড়। কিভাবে বাংলাদেশের ক্রীড়া জগৎ উজ্জ্বল হবে? কিভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে? কিভাবে করবে বিশ্ব জয়? কিছুই কি করার নেই এ ব্যপারে? আছে। এবং তা খুব সহজ।
খুব স্বল্প অর্থায়নে চলছে এসব প্রতিযোগীতা। এসব প্রতিযোগীতায় অর্থায়ন বাড়াতে হবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে খেলোয়ারদের এসব দিক দেখতে হবে। তাদের অস্থায়ী আবাসনের উন্নত ব্যবস্থা করতে হবে। ফলে খেলাধূলায় ভাল করে তারা এগিয়ে যাবে অনেক দূর। দেশের ক্রীড়া শিল্প কে নিয়া যাবে অনন্য উচ্চতায়।
কিভাবে ভাল মানের খেলোয়াড় তৈরী হবে?
Reviewed by সম্পাদক
on
বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
Rating: