শিশু-কিশোর২৪ ডেস্ক:
সারা বিশ্বব্যাপী কিশোর-কিশোরী ধূমপায়ীদের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ১৩ কিংবা ১৪ বছর বয়স না পেরোতেই সিগারেটে আসক্ত হচ্ছে তারা। অনেকেই আবার এলকোহোল কিংবা মদ্যপানেও অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এ ধরণের অভ্যাস তাদের শরীরের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াচ্ছে।
সম্প্রতি এভন লংগিটিউনাল স্টাডি অব প্যারেন্টস এন্ড চিলড্রেন’ শিরোনামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিশোর বয়সে ধূমপান কিংবা এলকোহোল পানের সাথে জড়িয়ে পড়লে ১৭ বছর বয়স পেরোনের আগেই তাদের ধমনী মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। গবেষণাপত্রটি ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নালে প্রকাশিত হয়।
যার ফলে তাদের হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। পরবর্তী জীবনে তাদের স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
অপরদিকে গবেষণা থেকে আরো উঠে এসেছে যে, কিশোর বয়সে পার হওয়ার আগেই যারা ধূমপান এবং মদ্যপান ছেড়ে দেয় তাদের ধমনী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
গবেষকরা ব্রিস্টল শহরে ২০০৮ সাল থেকে শুরু করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১২৬৬ জন তরুণের উপর এ গবেষণা চালায়। এবং প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ পরিবারের স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে।
অংশগ্রহণকারীরা ১৩,১৫ ও ১৭ বছর বয়স এই তিন সময়কালে তাদের ধূমপানের বিস্তারিত বিবরণ গবেষকদের কাছে পেশ করে। এবং পরীক্ষা করা হয় ,তাদের ধমনীতে কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে!
এতে মূলত দুটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়, এক- তারা জীবনে কি পরিমাণ সিগারেট খেয়েছে। দুই- তারা কত বছর বয়স থেকে এলকোহল পান শুরু করেছে।
এতে দেখা যায়, যারা ১০০ টির অধিক সিগারেট খেয়েছে এবং এলকোহল পানে অধিক আসক্ত তাদের তুলনায় ২০ টির কম সিগারেট খাওয়া কিশোরদের ধমনী অধিক নিরাপদ।
গবেষক দলের অন্যতম একজন প্রফেসর জন ডিনফিল্ড বলেন, ‘ তরুণ বয়সেই ধূমপান এবং এলকোহল পান ছেড়ে দিলে ধমনীকে আবার স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব’।
সূত্র : channel I online
সারা বিশ্বে বাড়ছে কিশোর ধূমপায়ীর সংখ্যা।
Reviewed by সম্পাদক
on
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৮
Rating: