-->

বুক রিভিউ- পটাশগড়ের জঙ্গলে: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়


শিশু-কিশোর২৪ডেস্ক:
বইয়ের নাম : পটাশগড়ের জঙ্গলে
লেখক : শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনী : আনন্দ পাবলিশার্স, কলকাতা
জয়পতাকাবাবু এমনিতে যে খুব পালোয়ান টাইপের মানুষ, তা নয়। একদম নিখাদ বাঙালি। সেই জয়পতাকাবাবু এমন একটা বেধড়ক অসম্ভব কাণ্ড করে বসবেন, তা কে জানত?
ব্যাপারটা হলো, ভজুরাম মেমোরিয়াল স্কুলের সাথে কালীতলা স্কুলের ফুটবল ম্যাচ। ঘোষবাড়ির ভুতুকে সেই খেলায় নেওয়া হয়নি। অপরাধ : সে হেডস্যারের ক্লাসের সময় তার টেবিলের নিচে কাঁকড়াবিছা ছেড়ে দেয়।
তো, এজন্য ভুতু বেজায় রেগে গিয়ে করল কী, কৌশলে গ্রামের তেজী-ভয়ানক ষাঁড় কালুকে মাঠে এনে লেজ মুচড়ে চেতিয়ে ছেড়ে দেয়। কালুর দাপাদাপিতে খেলা পণ্ড হতে চলেছে, সবাই সরে পড়েছে, এমন সময় হাজির হলেন জয়পতাকাবাবু। তিনি লাল কাপড় নিয়ে ভুলুকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কালু আর জয়পতাকাবাবুর লড়াইয়ের মাঝে কোনো এক পর্যায়ে কালুর গুঁতো খেয়ে জয়পতাকাবাবু একদম কালুর পিঠে উঠে পড়েন। কালু তাঁকে পিঠে নিয়ে একদম পটাশগড়ের জঙ্গলে পগারপার।
পরে কালু ফিরে আসে জঙ্গল থেকে, কিন্তু জয়পতাকাবাবুর কোনো খোঁজ নেই। তিনি আটকা পড়ে যান, জঙ্গলের এক কেল্লায়। সেই কেল্লা থেকে কেউ ফিরে আসে না। তাকে উদ্ধার করতে যান তার দাদু জয়ধ্বনি, শ্যাম লাহিড়ী আর রাজনীতিক ব্যোমকেশ। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাঁরাও পড়ে বিপদে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে স্যারকে উদ্ধারের আশায় রাতে বাড়ি থেকে পালায় ভুতুও।
শেষমেশ কি ভুতু পারে জয়পতাকাদের উদ্ধার করতে? কী ছিল ওই রহস্যময় কেল্লায়? কেন ওখানে গেলে মৃত্যু ঘটে সবার? দিনের বেলা কেল্লাটা যায় কোথায়?
বাকিটা বললে মজা একদম নষ্ট হয়ে যাবে। উৎসাহী পাঠকরা বইটি পড়েই খুঁজে নিতে পারেন প্রশ্নগুলোর উত্তর।
বইটির পরতে পরতে আছে হাসির দমক, সাসপেন্স আর সায়েন্স ফিকশনের মিশেল। যাকে বলা যেতেই পারে থ্রি-ইন-ওয়ান। আর ‘আনপুটডাউনঅ্যাবল’ বই তো বটেই! শীর্ষেন্দুর গল্প বলার ভঙ্গি যে কত মজার, তা না হয় নতুন করে না-ই বা বললাম!

সূত্র: tanvirerblog.wordpress.com
বুক রিভিউ- পটাশগড়ের জঙ্গলে: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বুক রিভিউ- পটাশগড়ের জঙ্গলে: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Reviewed by সম্পাদক on সোমবার, জুলাই ২৩, ২০১৮ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.