মাহির ফয়সাল,(রংপুর):
তুমি ভবিষ্যতে যেমন জীবনের স্বপ্ন দেখো,এখন ঠিক তেমন মানুষদের সাথেই চলো যারা তেমন জীবন অতিবাহিত করছে। এটা তোমাকে তোমার স্বপ্ন পূরণে অনেক সহায়তা করবে।
একটা ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতেই সিদ্ধান্ত নেয় সে ভবিষ্যতে ভালো হবে না কি খারাপ! আবার অষ্টম শ্রেণি পার করলে চিন্তা করবে সে কোন ধরনের খারাপ হবে! খারাপ নানাভাবে হওয়া যায়। যেমন:-রাজনৈতিক খারাপ,অবাধ্য সন্তান হিসেবে খারাপ,নেশাখোর হিসেবে খারাপ,গুন্ডা হিসেবে খারাপ ইত্যাদি লেভেলের খারাপ। আর ভালোর কোন প্রকারভেদ নেই। ভালো সব ক্ষেত্রেই ভালো।
যাই হোক, ধরে নিলাম একটা ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সিদ্ধান্ত নিল খারাপ হবে তারপর তার ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করল যেচে সহপাঠীদের সাথে ঝগড়ার মাধ্যমে তারপর আস্তে আস্তে তা মারামারি তারপর আস্তে আস্তে তা চাদাবাজিতে পরিণত হয়।
তারপর অষ্টম শ্রেণি পার করার পর সে তার একটা গ্যাং এর প্রয়োজনীয়তা বোধ করল। তো সে করল কি!সে ধীরে বড়ভাই খুজতে শুরু করল। বড়ভাই খুজা এবং কিছু সহপাঠীকে নষ্ট করার মাধ্যমে তাদের গুন্ডা জীবন শুরু হল। আস্তে আস্তে এদের ডোনট কেয়ারভাব চলে আসল। তারপর হঠাত একদিন তাদের বড় ভাই মিসিং এরপর দশ থেকে পনের বছর পর সেও মিসিং এদের ভবিষ্যৎটা এমনই। এরা ভালো মানুষদের জ্বালায় বেশি আবার মরেও তাড়াতাড়ি।
অন্যদিকে,
একটা ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতেই সিদ্ধান্ত নিল সে ভালো মানুষ হবে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত শুধু ভালো মানুষ হবার চিন্তাই করে গেল। একাদশ শ্রেণিতে উঠে সে বুঝতে পারল, সে যে শুধুমাত্র একজন ভালো মানুষ তাতেই তার পরিপূর্ণতা আসবে না। তাকে একাধারে একজন সফল মানুষও হতে হবে। তারপর সে যখনই ভালো সফল মানুষের খোজ পায় সে তার কাছে বিভিন্ন পরামর্শ নেয় এভাবেই সে একদিন সফল মানুষদের পর্যায়ে চলে যায়। শুধু ইচ্ছাটাই মূল। তবে আমরা যেটাকে আমাদের মনের ইচ্ছা বলে বিবেচনা করি তা পুরোটাই ফর্মালিন দেওয়া।
সুতরাং, তোমার পড়াশুনার পাশাপাশি তুমি কাদের সাথে মিশছো, কাদের অনুসরণ করছো,নিজেকে নিয়ে কি ধরনের আশা করছো তা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
একটা কথা স্থায়ী সফলতা যেদিন অর্জন করতে পারবে, সেদিন পুরো পৃথিবী তোমার বিপক্ষে থাকলেও পক্ষে চলে আসবে। আর অস্থায়ী সফলতায় যখনই সফলতা শেষ হয়ে যাবে তখন পৃথিবী তোমার বিপক্ষে চলে যাবে।
আর একজন সৎ মানুষকে অস্থায়ী সফলতা কতটা পীড়ন দেয় তা যে স্বীকার হয়েছে সেই বুঝে।
তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও!
Reviewed by প্রকাশক
on
বুধবার, জুন ২০, ২০১৮
Rating: